ঢাকায় সোনা চুরি চট্টগ্রামে নড়েচড়ে বসেছে কাস্টমস
সিভয়েস প্রতিবেদক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক বিভাগের গুদামে থাকা লকার থেকে সোনা চুরির ঘটনায় তোলপাড় চলছে দেশজুড়ে। বুধবার সকালেও কাস্টমসের চার কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। ঢাকা কাস্টমসের এমন টালমাটাল অবস্থা দেখে সোনা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখে দুদিন ধরে বিভিন্ন সময়ে জব্দ করা চোরাই সোনা ইনভেন্ট্রি করতে বসেছে কাস্টমস কর্মকর্তারা।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে এসব সোনা জমা দিয়েছে সংস্থাটি। তবে কি পরিমাণ সোনা জমা দেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সী সোনা জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, বিভিন্ন সময় জব্দ করা স্বর্ণ আমাদের ভল্টে ছিল। গতকাল থেকে চোরাই স্বর্ণগুলোর তথ্য ইনভেন্ট্রি করে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার তত্ত্বাবধানে আজ বাংলাদেশ ব্যাংক জমা দেয়া হয়েছে।
এদিকে কাস্টমসের কর্মকর্তাদের ব্যস্ততায়শুল্কায়নের কাগজপত্রসহ আনুষঙ্গিক কাজ করতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সিএন্ডএফ এজেন্টসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের। গত দুদিন ধরে কাজ শেষ করতে না পেরে ফেরত চলে গেছেন অনেকেই। যদিও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের ঝামেলা শেষ, আগামীকাল থেকে পরিপূর্ণ সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধি সিভয়েসকে বলেন, আমরা গত দুদিন ধরে কাস্টমসের সেকশন-০৪ এবং ৫(বি) তে গিয়ে কোন ধরনের সেবা পাইনি। সেবাগ্রহীতারা গিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন কিন্তু কেউই কাজ শেষ করতে পারছেন না। আমিও আজ সারাদিন থেকে শুল্কায়নের প্রয়োজনীয় কাগজপপত্র নিয়ে আবার ফেরত চলে আসছি। গতকালও একই অবস্থা ছিল। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যদি দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থেকে সেবা না দেন সেটা খুব দুঃখজনক।
জানতে চাইলে সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু সিভয়েসকে বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তাই চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষেরও টনক নড়ে উঠেছে। তারা বিভিন্ন সময় জব্দ করা স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়ার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তাই সেবা না পেয়ে অনেকে ফেরত চলে গেছেন।
ভোগান্তির কথা স্বীকার করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান সিভয়েসকে বলেন, ভল্টে সোনা জমা দেওয়া নিয়ে আমাদের কর্মকর্তারা ব্যস্ত ছিল। আগামীকাল থেকে পরিপূর্ণ সেবা দেয়া সম্ভব হবে।