Cvoice24.com

পুলিশের ছিনতাই হওয়া ওয়ারলেস সেট উদ্ধার হলেও অধরা হানিফ 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:২৯, ২১ নভেম্বর ২০২২
পুলিশের ছিনতাই হওয়া ওয়ারলেস সেট উদ্ধার হলেও অধরা হানিফ 

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার কালুরঘাট ফাঁড়িতে হামলা করে ফাড়ির ইনচার্জ এসআই শরীফ রোকনুজ্জামানের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া ওয়ারলেস সেটটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ছিনিয়ে নেওয়া মাদক ব্যবসায়ী হানিফকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। 

সোমবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মৌলভীবাজার রেললাইন সংলগ্ন এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ওয়ারলেস সেটটি উদ্ধার করে চান্দগাও থানা পুলিশ।

চান্দগাঁও থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাইনুর রহমান বলেন, ‘আমরা আজ সন্ধ্যায় ছিনতাই হওয়া ওয়ারলেস সেটটি উদ্ধার করেছি। সেদিনের ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছি।’

পুলিশের ওপর হামলা, ফাঁড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় একটি এবং ইয়াবাসহ আটকের ঘটনায় আরেকটিসহ মোট দুটি মামলা করে পুলিশ। হামলা মামলায় এজহার নামীয় ১৪জন ও অজ্ঞাত ২১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে মাদক মামলায় হানিফ ও শরীফকে আসামি করা হয়েছে। আটক আটজনকে ইতোমধ্যে হামলা ও ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জের বাসিন্দা হানিফ মোহরার ৯ নম্বর ও ৮ নম্বর রেল লাইন কেন্দ্রিক ইয়াবা-মদসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে। তার একাজে হিজড়া নামধারী বিশাল বাহিনী রয়েছে তার। সরকারদলীয় কতিপয় নেতাদের ভাগ বাটোয়ারা দিয়ে দেদারসে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল হানিফ। তার নামে মাদক-খুনসহ একাধিক মামলা থাকার পরও পুলিশের একাধিক অভিযানে সে ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশি অভিযানে তার সহযোগিরা আটক হলেও সে সব সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় রহস্যজনক কারণে। 

তবে গত শনিবার সন্ধ্যায় ৯ নম্বর পুলের গোড়ায় হানিফের বাসা থেকে চান্দগাঁও থানার কালুরঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রোকনুজ্জামান মাদক কারবারি হানিফ ও শরীফকে পাঁচ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। আটকের কিছুক্ষণ পরই কালুরঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে হানিফ ও শরীফকে ছিনিয়ে নেয় তার সহযোগিরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে হানিফ বাহিনীর সংঘর্ষ হলে হানিফের বোন নাজমা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এবং দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন। এমনকি চান্দগাঁও থানার ওসিসহ সিএমপি থেকে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ সেখানে গেলেও হানিফকে নিজেদের হেফাজতে রাখতে পারেনি পুলিশ। 

এদিকে স্থানীয়রা জানান, ২০২০ সালের ১২ অক্টোবরের দিকে মৌলভী বাজারের ৯ নম্বর পোল এলাকায় মাদক ব্যবসার অভিযোগ পেয়ে হানিফকে আটক করে র‌্যাব সদস্যরা। এ খবর পেয়ে সড়ক অবরোধ করে সিনেমাটিক স্টাইলে তাকে সেখান থেকে ছাড়িয়ে নেন হিজড়াদের একটি দল। হানিফের বাবা লোকমান, ভাই ইয়াছিন ও বোন নাজমা সবাই মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। মৌলভী বাজারের পোল বস্তিসহ মোহরা এলাকা মাদককারবার নিয়ন্ত্রণ করতে ইয়াছিন আরাফাতকে সুকৌশলে হিজড়া বানিয়েছে তার পরিবার। প্রতিদিন হিজড়া রুপ নিয়ে এলাকায় জোর করে টাকা তোলে ইয়াছিন। কেউ কিছু বললে সবার সামনে উলঙ্গ হয়ে মারধর করে। মানুষ বাধ্য হয়ে তাকে টাকা দেয়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়