Cvoice24.com

মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০১:৩২, ১ আগস্ট ২০২২
মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের ৩৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ৬৯ জন সহ-সভাপতি, ১২ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক রাখা হয়েছে।

রবিবার (৩১ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত প্যাডে এই কমিটির অনুমোদন দেন। যা ছাত্রলীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়। 

২০১৬ সালের ১৭ জুলাই সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এরপর গত সাড়ে ৫ বছরে আর কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি চবি ছাত্রলীগের।

২০১৫ সালের ২০ জুলাই মোহাম্মদ আলমগীর টিপুকে সভাপতি এবং ফজলে রাব্বি সুজনকে সাধারণ সম্পাদক করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। কমিটি গঠনের ৭ মাসের মাথায় প্রথম দফায় কমিটি স্থগিত করা হয়।

এ স্থগিতাদেশ ৫ মাস পর প্রত্যাহার করলেও ৯ মাসের মাথায় এক সংঘর্ষের পর দ্বিতীয় দফায় এ শাখার কার্যক্রম স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় এ পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এরপর ১৯ মাস পর ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই চবি ছাত্রলীগের দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এতে সভাপতি করা হয় রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় ইকবাল হোসেন টিপুকে। এই কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু আড়াই বছর পেরিয়ে রুবেল-টিপুর কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ দুটি বলয়ে বিভক্ত। এর একটি সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। অন্যটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফলের অনুসারী।

প্রতিটি বলয়ের অনুসারীদের মধ্যে আবার আলাদা আলাদা বেশ কয়েকটি উপগ্রুপ রয়েছে। এদের মধ্যে সিক্সটি-নাইন, ভিএক্স, কনকর্ড, রেড সিগন্যাল, এপিটাফ, বাংলার মুখ, উল্কা গ্রুপ আ জ ম নাছিরের অনুসারী। সিএফসি ও বিজয় গ্রুপ মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফলের অনুসারী। সবগুলো গ্রুপ মিলে কয়েক হাজারেরও বেশি নেতা-কর্মীর ইউনিট চবি ছাত্রলীগ।

এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে ২০১ সদস্যের কমিটির জন্য পদপ্রত্যাশী হিসেবে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন প্রায় দেড় হাজার নেতা-কর্মী।

দীর্ঘদিন পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মী ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পদে থাকা কয়েকজন নেতা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘সঠিক সময়ে কমিটি না হওয়ার কারণে সুষ্ঠুভাবে রাজনীতিতে অংশগ্রহণের প্রতি আগ্রহ অনেকটাই হারিয়ে গেছে। এর আগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিও প্রায় ৫ বছর পর ঘোষণা করা হয়েছিল। এ রকম চলতে থাকলে নেতা-কর্মীরা অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়বে।’

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পদ বঞ্চিত কর্মীরা সিভয়েসকে বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫-এর-গ-এ বলা আছে, কোনো নিয়মিত শিক্ষার্থী (৫-এর-ক উপধারা অনুযায়ী) ছাত্রলীগের সদস্য ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হতে পারে। তবে বিবাহিত, অছাত্র, ব্যবসায়ী ও মাদককারবারীদের নিয়ে এ কমিটি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আদর্শের সৈনিক হয়ে তা আমরা কখনো মানবো না।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়