Cvoice24.com

প্রকল্পের নামে অর্থের অপচয় করা যাবে না: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:২৫, ৩১ জুলাই ২০২২
প্রকল্পের নামে অর্থের অপচয় করা যাবে না: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

প্রকল্প গ্রহণের নামে সরকারি অর্থের অপচয় করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। রোববার (৩১ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। 

এসময় তিনি সমস্যা সমাধানে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে উপস্থিত সকল পক্ষকে নিয়ে অনেকগুলো সভা করে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা-দপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এমনকি ইমপেক্ট এবং আউটপুট বিশ্লেষণ করে প্রকল্প নেয়ার তাগিদ দিয়ে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প পরিহার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

সভায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বলেন, জলাবদ্ধতার সমস্যা চট্টগ্রামের বড় একটি সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী নিজে সময়ে সময়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ি পদক্ষেপ নেয়াও হয়েছে। এই সমস্যার পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যা সমাধানে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারের অনেক সফলতা আছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে। চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চাকতাই খাল খনন, কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিংসহ সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে তাগিদও দেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম দেশের ইকোনমিক হাব হিসেবে পরিচিত। এই শহরটিকে দেশের আইডল সিটি হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে। দেশের অর্থনীতির অন্যতম এই শহরকে কোনোভাবেই অবমূল্যায়ন করার উপায় নেই। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে যেসব প্রকল্প নেয়া হয়েছে সেগুলো কতটা কার্যকর হয়েছে তা দেখার প্রয়োজন রয়েছে। যদি কার্যক্রর না হয় অথবা যাচাই বাছাই না করে গ্রহণ করা হলে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। 

খাল ও ড্রেনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা খাল দখল করে অবৈধভাবে বিল্ডিং বানিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে রেখেছেন। খালের উপর দোকান-পাট বানিয়েছেন। এগুলোর কারণে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সবাইকে সচেতন হতে হবে। কিছু মানুষের জন্য কোটি কোটি মানুষের জীবন অতিষ্ট হতে পারে না। এসময় সকল খাল দখলমুক্ত করারও নির্দেশ দেন তিনি।

এদিকে বর্জ্য সমস্যা বর্তমানে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। গৃহস্থালি বর্জ্যের পাশাপাশি ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল বর্জ্য, মেডিকেল ব্রিজ, নির্মাণ সামগ্রীর বর্জ্যসহ অন্যান্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। আর তা হলো বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন। খুব শিগগিরই ঢাকা, গাজীপুর এবং চট্টগ্রামসহ অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনগুলোতে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলে জানান তিনি। 
সভায় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করীম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকারসহ আরও অনেকে।

সিভয়েস/এসআর

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়