Cvoice24.com

রামগড়ে এসডিও বাংলো নিয়ে দ্বন্দ্বে বিজিবি-উপজেলা প্রশাসন 

রামগড় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:১৫, ২ আগস্ট ২০২২
রামগড়ে এসডিও বাংলো নিয়ে দ্বন্দ্বে বিজিবি-উপজেলা প্রশাসন 

খাগড়াছড়ির রামগড়ের এসডিও বাংলো নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে বিজিবি ও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে। সোমবার বিজিবি ওই বাংলোর সীমানা বেষ্টনী পুনঃসংস্কার করার সময় দুই শ্রমিককে পাঁচ দিনের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তার ঠিক একদিন পরই মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বিজিবি সদস্যরা ওই বাংলোর সীমানা বেষ্টনি পুনঃসংস্কারের কাজ করেছে। 

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে বিজিবির সৈনিকদের কাঁটাতারের বেষ্টনি মেরামত কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করে কোন ধরণের বাধাছাড়াই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। 

এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মো: ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত সাংবাদিকদের বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের গত ২৮ নভেম্বর ২০২১ এর আদেশ অমান্য করে রামগড় উপজেলা পরিষদের জায়গার উপর অবস্থিত ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত রামগড় সাবেক মহকুমা প্রশাসকের এসডিও বাংলোর সামনে অবৈধভাবে কাঁটাতারের বেস্টনিতে কাজ করার সময় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দুই জনকে গতকাল ৫ দিনের জেল দেয়া হয়েছে। আজ সকালে বিজিবি সদস্যরা জায়গাটি দখলে নিতে পুনরায় কাঁটাতারের বেষ্টনি মেরামত শুরু করেছে।
 
তিনি আরও বলেন, উপজেলা পরিষদের খতিয়ানভূক্ত জমি, জেলা প্রশাসকের নামীয় খাস জমিতে বর্তমানে সরকারি যুব উন্নয়ন অফিস, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক রয়েছে। তাছাড়া জায়গাটিতে উপজেলা ভূমি অফিস, উপজেলা মডেল মসজিদ, উপজেলা মৎস্য অফিস ও উপজেলাা শিক্ষা অফিস ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারণ করা রয়েছে। 
 
এদিকে ইউএনও গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করে বলেন, আজ সকালে অফিস শুরুর প্রাক্কালে প্রায় শতাধিক সশস্ত্র বিজিবি সদস্য বর্ণিত স্থানে বিদ্যমান সরকারির অফিসসমূহের সামনে অবস্থান করে কাঁটা তারের বেষ্টনি নির্মাণকালে উক্ত স্থানে অবস্থিত সরকারি অফিসসমূহে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী, আগত সেবা প্রত্যাশী ও স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে আতংক ও ভীতির সঞ্চার হয়।

অন্যদিকে রামগড় ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো: হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমে পাঠানো আরেকটি ক্ষুদে বার্তায় জানান, ‘আমরা ক্যাম্পের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করেছি এবং কে বা কাহারা ঘেরের বেড়া ভেঙে দিয়েছিলো। নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে ঘেরের বেড়া পুনরায় ঠিক করেছি। সেখানে মাত্র ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছাড়াই কাজ করছিল।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়