যুদ্ধ থামাতে এবার শি জিনপিংয়ের শরণাপন্ন জেলেনস্কি

মার্কিন অস্ত্র জেভলিন মিসাইল ও হিমার রকেটে শক্তিশালী হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। তবুও যুদ্ধ থামাতে ‘শক্তিশালী’ চীনের শরণাপন্ন হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এবার তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ‘সরাসরি আলোচনার’ ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

বুধবার (৩ আগস্ট) রাতে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ যুদ্ধ অবসানে সহায়তার জন্যই জিনপিংয়ের মুখোমুখি বসতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে নিজেদের চলমান যুদ্ধ অবসানে সহায়তা করার জন্য চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ‘সরাসরি’ কথা বলার সুযোগ খুঁজছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট খবর প্রকাশ করেছে।

এসসিএমপির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনীয় এই প্রেসিডেন্ট যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রাশিয়ার ওপর বেইজিংয়ের বিশাল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করার জন্য চীনকে অনুরোধও করেছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চীন অত্যন্ত শক্তিশালী একটি রাষ্ট্র। দেশটির একটি শক্তিশালী অর্থনীতি রয়েছে… তাই (চীন) রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। এবং চীন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যও।
তাই রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক ভাবে রাশিয়াকে প্রভাবিত করতে সক্ষম চীন। 

এর আগে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন থামাতে ভারতের কাছে মদত চেয়েছিল কিয়েভ।

প্রসঙ্গত, এই যুদ্ধ শুরুর পর পাঁচ মাসের বেশি সময়ে ইউক্রেনে হাজারও মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছেন। এ ছাড়া রুশ আগ্রাসনে ইউক্রেনের সামরিক-বেসামরিক অবকাঠামোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে ঘিরে চীন-আমেরিকার সংঘাত চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমেরিকার যুদ্ধবিমানের নিরাপত্তায় পেলোসি তাইওয়ান ছাড়ার পরেই সক্রিয় হয়েছে চীন। বুধবার বিকালে বেজিংয়ের তরফে তাইওয়ান প্রণালীকেই বিপজ্জনক অঞ্চল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ অবস্থায় ইউক্রেনে বেজিংয়ের হস্তক্ষেপ চেয়ে পরোক্ষে ওয়াশিংটনের উপর চাপ বাড়িয়েছে কিয়েভ।