Cvoice24.com

নারায়ন রক্ষিত ‘বাধায়’ ভোটে লড়তে হচ্ছে আ’লীগের পেয়ারুল ইসলামকে 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৩৯, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
নারায়ন রক্ষিত ‘বাধায়’ ভোটে লড়তে হচ্ছে আ’লীগের পেয়ারুল ইসলামকে 

জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী চেয়ারম্যান প্রার্থী এ টি এম পেয়ারুল ইসলামআওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।

২০১৬ সালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বৈতরণী পার হয়েছিলেন এম এ সালাম। তবে ফেসবুকে গত কদিন ধরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ টি এম পেয়ারুল ইসলামকে ‘নির্বাচিত চেয়ারম্যান’ হিসেবে অভিনন্দন জানালেও তাকে ভোটের লড়াইয়ে মুখোমুখি হতেই হচ্ছে। ২১ সেপ্টেম্বর তিন প্রার্থীর মধ্যে সাবেক কৃষক লীগ নেতা মো. ফয়েজুল ইসলাম তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন বিএনএফ চট্টগ্রাম মহানগরের সেক্রেটারি নারায়ণ রক্ষিত। আজ ২৫ সেপ্টেম্বর ছিল জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।  

তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ ছিল আজ ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। আর ভোটগ্রহণ ১৭ অক্টোবর। 

জেলা নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ফটিকছড়ির এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, হাটহাজারী থেকে সাবেক কৃষক লীগ নেতা ফয়েজুল ইসলাম ও বিএনএফ চট্টগ্রাম মহানগরের সেক্রেটারি নারায়ণ রক্ষিত।  

এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ১৫টির মধ্যে একক প্রার্থী হওয়ায় রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও আনোয়ারা ওয়ার্ডে বিনাভোটে জয়ী হতে যাচ্ছেন তিন প্রার্থী। তারা হলেন- ৬ নম্বর রাউজান ওয়ার্ডে কাজী আবদুল ওহাব, ৭ নম্বর রাঙ্গুনিয়া ওয়ার্ডে আবুল কাশেম চিশতী এবং ১২ নম্বর আনোয়ারা ও নগর আংশিক ওয়ার্ডে এস এম আলমগীর চৌধুরী। 

আগামী ১৭ অক্টোবর ২ হাজার ৭৩০ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ হাজার ৯৩ জন এবং মহিলা ভোটার ৬৩৭ জন। ভোট গ্রহণ হবে ১৫টি কেন্দ্রের ৩০টি বুথে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ১৫ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান, সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার এবং পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলররা নির্বাচনে ভোট প্রদান করবেন।

মীরসরাই উপজেলা, সীতাকুণ্ড উপজেলা, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, কর্ণফুলী, পটিয়া, চন্দনাইশ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে।  

চসিকের ১, ২, ৩, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা হাটহাজারী উপজেলা কেন্দ্রে ভোট প্রদান করবেন। ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা বোয়ালখালী উপজেলার শহর অংশের কেন্দ্রে ভোট প্রদান করবেন। ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড এবং ২৮-৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা ভোট প্রদান করবেন কর্ণফুলী উপজেলার শহর অংশের কেন্দ্রে। ২৩, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলররা সীতাকুণ্ড উপজেলার কেন্দ্রে ভোট দিবেন। এছাড়া ২৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং ৩৭-৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা ভোট দিবেন আনোয়ারা উপজেলা কেন্দ্রে।

২০০০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নতুন করে জেলা পরিষদ আইন প্রণয়ন করে। এরপর জোট সরকারের আমলে এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে জেলা পরিষদ পরিচালনা করে। এরপর প্রথমবারের মতো স্থানীয় সরকারে নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর। সে সময় ৬১টি জেলায় (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) নির্বাচন হয়েছিল। সে সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন এম এ সালাম।

জেলা পরিষদের মেয়াদ আরও আগেই শেষ হলেও আইন সংশোধনসহ অন্যান্য জটিলতার কারণে ভোটগ্রহণ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। স্থানীয় এ সরকারের আইনটি সংশোধনের পর গত ১৭ এপ্রিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রশাসক অন্য জেলার মত চট্টগ্রামেও সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালামকে ৬ মাসের জন্য প্রশাসক পদে নিয়োগ দেন। 

আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার অধীনে যতগুলো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর সদস্যরাই জেলা পরিষদ সদস্যদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। অর্থাৎ সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিলররা বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও পাঁচজন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত করবেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়