Cvoice24.com

চট্টগ্রামে আজ, বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪

সময় ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড

রাঙামাটি ঝুলন্ত সেতু: চার দশকেও হয়নি শৌচাগারের ব্যবস্থা, নেই উন্নয়নের উদ্যোগ

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:১০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাঙামাটি ঝুলন্ত সেতু: চার দশকেও হয়নি শৌচাগারের ব্যবস্থা, নেই উন্নয়নের উদ্যোগ

রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুতে নেই কোন উন্নয়নের উদ্যোগ

মেঘ, পাহাড় আর হ্রদের দেশ রাঙামাটি। প্রকৃতি তার রূপ অপার হস্তে দান করেছে এই জনপদে। যার টানে প্রতি বছর ছুটে আসেন প্রায় ৫ লাখ পর্যটক। বছরের প্রায় সময়ই কম বেশি পর্যটকের আনা গোনা থাকে এখানে। কিন্তু ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’ খ্যাত জেলার বৃহত্তম পর্যটন স্পট ঝুলন্ত সেতুতে নেই কোন উন্নয়নের উদ্যোগ। সবখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা, ভাঙ্গা ও সরু রাস্তায় হতাশ পর্যটকরা। সবচেয়ে জরুরি বিষয়, শুরুর চার দশকেও পর্যটকদের জন্য নেই কোন শৌচাগারের ব্যবস্থা। যার কারণে ঘুরতে আসা পর্যটকদের বিশেষ করে নারী পর্যটকদের পড়তে হয় চরম বিপাকে। তবে এমন সব অব্যবস্থাপনার মধ্যেও পর্যটনকে ঘিরে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণের কথা জানালেন পর্যটন কর্পোরেশন ব্যবস্থাপক।

রাঙামাটি পর্যটন শিল্পের আইকন হিসেবে পরিচিত ঝুলন্ত সেতু। ১৯৮৫ সালে ৩০ একর জায়গা নিয়ে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে কাপ্তাই হৃদের উপর তৈরি করা হয় পর্যটন স্পট ও ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যের এই সেতু। এরপরে কেটে গেছে প্রায় চার দশক। শুধু এই ঝুলন্ত সেতুর টানে প্রতিবছর লাখো পর্যটক ভ্রমণ করে রাঙামাটিতে। তবে ঝুলন্ত সেতুটিকে ঘিরে কর্তৃপক্ষের পক্ষের নেই কোন পরিকল্পনা।  

ঝুলন্ত সেতুতে গিয়ে দেখা মেলে আবর্জনা স্তূপ। স্পটটিতে নেই কোনও শৌচাগারের ব্যবস্থা। ভাঙ্গা ও সরু রাস্তা দিয়ে পর্যটকদের চলাচল করতে হয়। পর্যটকদের জন্য নেই কোনও ছাউনি। অথচ এসব সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি ঝুলন্ত সেতুর আশপাশ এলাকা সৌন্দর্যবর্ধনের মাধ্যমে এই পর্যটন স্পটটিকে আরো আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা গেলে বর্তমান সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ বাড়তো পর্যটক।  

রাঙামাটি ঝুলন্ত সেতুতে যাওয়ার ঝুকিপূর্ণ রাস্তা

রাঙামাটি ঝুলন্ত সেতুতে ঘুরতে আসা পর্যটক ইলিয়াস জানান, রাজবাড়ি থেকে আসছি। এখানে চার দশকেও কোন ওয়াশরুম পেলাম না। ঝুলন্ত সেতুর ছবি দেখে আসলাম কিন্তু এই স্পটে সেতুটি ছাড়া আর কিছু তেমন দেখার নাই।

আর এক পর্যটক হুমায়ুন জানান, চট্টগ্রাম থেকে ৭ বছরে তিন বার ঝুলন্ত সেতুতে এসেছি। এখানে নতুন কোন কিছুতো সংযুক্ত হয়নি বরং ভেঙ্গে গেছে চলাচলের পথ।

টাঙ্গাইল থেকে আসা শিক্ষার্থী রিপন বলেন, চারদিকে ময়লার স্তূপ, এখানে বৃষ্টি আসলে যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো তার ব্যবস্থা নেই। কোন ছাউনির ব্যবস্থা নেই। কর্তৃপক্ষ চাইলে এই স্পটকে অনেক সুন্দরভাবে সাজানো যেত।
 
তবে ঝুলন্ত সেতুর বেহাল দশার কথা স্বীকার করে নতুন পরিকল্পনার কথা জানালেন ব্যবস্থাপক বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন রাঙামাটি শাখার ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া।

তিনি জানান, আমরা নতুন করে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি পর্যটন কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে। ঝুলন্ত সেতুর অপরপাশে চার একর জায়গা নিয়ে আমরা একটি নতুন পার্ক তৈরি করবো।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংশু প্রু চৌধুরী জানান, মন্ত্রণালয়ে রাঙামাটির পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ১২শত কৌটি টাকার প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পটি সময় সাপেক্ষ হওয়ায়, তার বাইরে আমরা বর্তমানে ছোট ছোট কয়েকটি পর্যটন স্পট তৈরি করার প্রকল্প হাতে নিয়েছি রাঙামাটির পর্যটন সম্ভাবনাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়