ভারতে বাংলাদেশি যুবকের ভুয়া পাসপোর্ট, জাতীয় সংগীত গাইতে বলায় ধরা

বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার পেয়ারি গ্রামের বাসিন্দা জি. আনোয়ার হোসেন (২৮)। সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) শারজাহ থেকে কোয়েম্বাটোর বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। পাসপোর্ট অনুযায়ী আনোয়ার হোসেন ভারতের নাগরিক। কিন্তু অন্যান্য নথিপত্র দেখে তাকে সন্দেহ হলে প্রমাণ করার জন্য ভারতের জাতীয় সংগীত গাইতে বললে বিপাকে পড়ে যান তিনি। অবশেষে বিমানবন্দরে গত সোমবার (২৩ জানুয়ারি) গ্রেপ্তার হন তিনি।

গত বুধবার (২৫ জানুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এবং দ্য হিন্দু।

সংবাদমাধ্যম বলছে, গত সোমবার তামিলনাড়ু রাজ্যের কোয়েম্বাটোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা এক বাংলাদেশি নাগরিককে আটক পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জাল পরিচয় ব্যবহার করে পাসপোর্টসহ অন্যান্য নথি তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছে।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তারকৃত জি. আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার পেয়ারি গ্রামের বাসিন্দা। গত সোমবার তিনি এয়ার আরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) শারজাহ থেকে কোয়েম্বাটোর বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

ইমিগ্রেশনের সময় বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা তাকে তার ভ্রমণের কাগজপত্র দেখাতে বলেন। এসময় আনোয়ার হোসেন তার ভারতীয় পাসপোর্ট এবং জন্ম সনদ কর্মকর্তাদের কাছে উপস্থাপন করেন।

তবে অভিযুক্ত আনোয়ারের নথিপত্র নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে কর্মকর্তারা তাকে ভারতীয় জাতীয় সংগীত গাইতে বলেন। এই সময় অভিযুক্ত স্বীকার করেন, তিনি বাংলাদেশের বাসিন্দা এবং জাল নথি ব্যবহার করে ভারতীয় পাসপোর্ট পেয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত এই যুবক আসলে ভারতীয় নন। তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে ভুয়া নথি ব্যবহার করে পাসপোর্ট বানিয়েছেন। এমনকি তামিলনাড়ুর তিরুপুরে ২ বছর ধরে তিনি কাজও করেছেন।

তার পাসপোর্টে পশ্চিমবঙ্গের ঠিকানা রয়েছে এবং এই পাসপোর্ট দিয়েই আনোয়ার সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে যায়। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ আনোয়ারের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টের ধারায় মামলা করেছে। পরে তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, আনোয়ার বলেছেন- তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত তিরুপুরের একটি সংস্থায় কাজ করেছিলেন এবং পরে চাকরির জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে যান। এখন আবার তিরুপুরে চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতে ফেরেন।

বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রিমান্ডে নেওয়ার পর আনোয়ারকে চেন্নাইয়ের পুজল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।