Cvoice24.com

৩০ হাজার টাকার জন্য ফার্নিচার ব্যবসায়ীর শিশু কন্যাকে অপহরণ, যুবক আটক

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৫০, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩
৩০ হাজার টাকার জন্য ফার্নিচার ব্যবসায়ীর শিশু কন্যাকে অপহরণ, যুবক আটক

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদে শিশু অপহরণের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. জুয়েল মিয়াকে (২৪) আটক করেছে র‍্যাব। একইসঙ্গে অপহৃত শিশুটিকেও উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার আবাসিক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক মো. জুয়েল (২৪) সিলেটের বালাগঞ্জ থানার গোয়াইলজুরা বাজার এলাকার মৃত কাশের মিয়ার ছেলে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদের জালালাবাদ এলাকার কাশেম কোম্পানির বাড়ির জামাই কলোনির ভাড়া ঘরে থাকতেন।

র‌্যাব জানায়, অপহৃত শিশুর বাবা পিয়ার মোহাম্মদ (৪৪) একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী। তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বায়েজিদ বোস্তামির জালালাবাদ এলাকায় একটি কলোনিতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখানে জুয়েল মিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে সম্পর্ক গেড়ে উঠে তাদের। প্রতিবেশি জুয়েলের সঙ্গে পিয়ার মোহাম্মদের ছেলে-মেয়েদেরও সখ্যতা তৈরি হয়। তারা জুয়েলকে ভাই বলে ডাকতো। সেও বিভিন্ন সময় ওই শিশুদের দোকান থেকে চকলেট-চিপস কিনে দিত।

গতকাল শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে প্রতিদিনের মতো অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল পিয়ার মোহাম্মদের ১ বছর ৯ মাস বয়সী মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা। এসময় মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকলে পরে পিয়ার মোহাম্মদ জানতে পারে, তার মেয়েকে প্রতিবেশি জুয়েল কোলে করে দোকানের দিকে নিয়ে যায়। এরপর অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও জুয়েল এবং তার মেয়েকে কোথাও দেখতে না পেয়ে আতঙ্কিত ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে পিয়ার মোহাম্মদ। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে জুয়েল ফোন করে জানায়, পিয়ার মোহাম্মদের মেয়ে তার হেফাজতে আছে এবং মেয়েকে সুস্থ পেতে চাইলে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণের দাবি করে জুয়েল। একইসঙ্গে দ্রুত টাকা পাঠানোর জন্য বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। আর টাকা তাড়াতাড়ি না পাঠালে তার মেয়েকে আর ফেরত দিবে না এবং হত্যা করে ড্রেনে ফেলে দিবে।

পরে অপহৃত শিশুর বাবা পিয়ার মোহাম্মদ বিষয়টি র‌্যাবকে জানালে শিশুটিকে উদ্ধার এবং জড়িত আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে সাড়ে ৯টার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামি আবাসিক এলাকা থেকে অপহরণকারী জুয়েল মিয়াকে আটক করা হয়। একইসঙ্গে অপহৃত ওই শিশুটিকেও উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জুয়েল মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে মেয়ে শিশুটিকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়ার কথাটি স্বীকার করেন। আটক আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়