বান্দরবানে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন ও পাহাড় কাটা বন্ধের দাবি

‘অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন ও নির্বিচারে পাহাড় কাটা বন্ধ কর’ এই স্লোগানে সাঙ্গু- চেঙ্গি ও কর্ণফুলী নদীসহ সকল নদী দখল ও দুষণমুক্ত এবং নদী রক্ষায় হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নে দাবিতে ‘ছাত্র-যুব সমাবেশ’ করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েস।

রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস আয়োজনে বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে পার্বত্যসহ সারাদেশে পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। পার্বত্য এলাকায় আজ প্রাকৃতিক বৈষ্যম্য হারাতে বসেছে। প্রকৃতিক বৈচিত্র্য ধ্বংস করে পাহাড় কেটে বাড়ি-ঘর তৈরি হচ্ছে প্রভাবশালীরা। সেই সাথে কিছু অসাধু চক্র অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে পাচার করে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে। সেসব কুচক্রীরা আইনকে তোয়াক্কা না করে আরও বেড়ে যাচ্ছে। এদের শাস্তি কি হবে না?’

বক্তারা আরও বলেন, অশুভ তৎপরতায় পার্বত্য এলাকা থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে অসংখ্য দুর্লভ প্রজাতির বন্যপ্রাণী। এর বাইরে পার্বত্য অঞ্চলে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটা, পাহাড় কাটা, বালু ও পাথর উত্তোলন, গাছ কেটে বন উজাড় করে গাছপালাসহ মূল্যবান উদ্ভিদ পাচার, জুমচাষসহ অন্যান্য ফসলের অবৈজ্ঞানিক চাষাবাদ এখানকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের জন্য দায়ী। বস্তুত এখানকার সহজ-সরল মানুষের অজ্ঞতা ও নির্বুদ্ধিতার সুযোগে কিছু লোক ধান্ধাবাজিতে নিষ্পেষিত হচ্ছে এ পার্বত্য জনপদ। 

তারা বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণে জনসংখার চাপ বাড়ায় আবাদি জমি ও বনাঞ্চলে গড়ে উঠছে আবাসিক স্থাপনা। এতে ক্রমাগত কমছে ফসলি জমি ও বনভূমির আয়তন। মূলত মানবসৃষ্ট কারণেই প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ধ্বংস হচ্ছে ভয়ংকরভাবে। প্রাকৃতিককে বাচাঁতে সবাইকে এক সাথে কাজ করা আহ্বান জানান মানবব্ধনকারীরা। 

সমাবেশে পার্বত্য অঞ্চলে ‘গ্রীন ভয়েস’ প্রধান সমন্বয়ক সাচিনুং মারমার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ভয়েস কেন্দ্রীয় পরিষদে প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবির, দিনাজপুর সরকারি রহমান কলেজে সাধারণ সম্পাদক ফারহানা রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ফাতেহা শারমিন এনিসহ গ্রীন ভয়েস সংগঠনের কর্মীরা।

-সিভয়েস/এএম/এএ