Cvoice24.com

নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহকারীসহ তিনজন গ্রেপ্তার

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:১৯, ৯ জানুয়ারি ২০২৩
নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহকারীসহ তিনজন গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার কবিরসহ দুই সহযোগী

বান্দরবানের নাইক্ষংছড়িতে থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’কে অস্ত্র সরবরাহকারী মো. কবির আহাম্মদ (৫০) আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।  এসময় তার দেখানোমতে নাইক্ষ্যাংছড়ি থানাধীন বাইশারী এলাকার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে দুটি প্লাস্টিকের ড্রাম ভর্তি অস্ত্র ও গোলাবারূদ উদ্ধার করা হয়। 

কাউন্টার টেররিজম বলছে, গ্রেপ্তারকৃত মো. কবির আহাম্মদ (৫০) নতুন অস্ত্র সরবরাহ করতেন। জঙ্গি সংগঠনেও টাকার বিনিময়ে অস্ত্র সরবরাহ করতে গিয়ে নিজেই হয়ে যান জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।

রবিবার (৮ জানুয়ারি) বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান। সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান।

গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- মো. ইয়াসিন (৪০) ও আব্দুর রহমান ইমরান (২৬)। তাদের হেফাজত থেকে ৩টি দেশিয় পিস্তল, ৬টি একনলা বন্দুক, ১১ রাউন্ড গুলি, ১৪০ রাউন্ড সিসার তৈরি গুলি, ২ লিটার এসিড, গান পাউডার, ৩ লিটার অকটেন, ২ কার্টুন ম্যাচ বক্স, একটি কয়েল বৈদ্যুতিক তার, ২ বোতল দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ, ২ টি স্প্রে ক্যান, একটি লোহার করাত, স্কচ টেপ ও সুপার গ্লু, ট্রেনিং এর পোষাক ও টুপি এবং হ্যান্ডস করাত ও ব্লেড উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠনটির বিরুদ্ধে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি দল জঙ্গি সংগঠনটির সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম তুহিন ও মো. নাঈম হোসেনকে পার্বত্য চট্রগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে প্রাপ্ততথ্য ও সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত সংগঠনে অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে কবির আহাম্মদকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় সিটিটিসি। পরবর্তীতে সিটিটিসির একটি দল কবির আহাম্মদ’কে বান্দরবান জেলা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যাংছড়ি থানাধীন বাইশারী এলাকার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে দুটি প্লাস্টিকের ড্রাম ভর্তি অস্ত্র ও গোলাবারূদ উদ্ধার করা হয়।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, কবির আহাম্মদ ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’কে অস্ত্র সরবরাহ করেছিল এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্রের কিছু অংশ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর কাছে সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অস্ত্র মামলার তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র মাস্টার মাইন্ড পলাতক আসামি শামিন মাহফুজ দুর্গম পার্বত্য এলাকায় সংগঠনের সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন ধাপে অস্ত্র সংগ্রহের জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করে।

এদিকে গ্রেপ্তার কবির আহাম্মদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীর কদমতলী থানা এলাকা থেকে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র আরও ২ সক্রিয় সদস্য মো. ইয়াসিন (৪০) ও আব্দুর রহমান ইমরানকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়। তারা উভয়েই পলাতক আসামি শামিন মাহফুজের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

আসাদুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তার আব্দুর রহমান ইমরানের মাধ্যমে শামিন মাহফুজ বিভিন্ন সময় তার সাংগঠনিক আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করতো। মো. ইয়াসিন বিভিন্ন সময় শামিন মাহফুজের জন্য সেল্টার হাউজ ব্যবস্থাপনাসহ সংগঠনের উগ্রবাদী আদর্শে দীক্ষিত হয়ে হিজরতে গমনকারীদের জন্য ব্যবহৃত সেল্টার হাউজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়