Cvoice24.com

সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানের রাজত্ব, রুখবে কে?

জাহেদুল ইসলাম, লোহাগাড়া

প্রকাশিত: ১৫:৪৬, ১৯ অক্টোবর ২০২১
সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানের রাজত্ব, রুখবে কে?

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার লোহাগাড়া সড়ক দাপড়িয়ে বেড়াচ্ছে সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দাপড়িয়ে বেড়াচ্ছে সিএনজি, থ্রি-হুইলার, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা। অথচ দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সরকার এসব যানবাহন মহাসড়কে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ৬ বছর আগে। ফলে প্রতিটি স্টেশনে দীর্ঘ যানজটের পাশাপাশি ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

অভিযোগ রয়েছে, পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে বছরের পর বছর মহাসড়ক ‍জুড়ে এসব যানবাহন পরিচালনা করছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র। প্রতিটি গাড়ি থেকে মাসোহারা তুলে প্রভাবশালী চক্রটি স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে ম্যানেজ করে। যেসব গাড়ি মাসোহারা দেয়না সেসব গাড়ি পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয় প্রভাবশালী চক্রটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া কেরানীহাটের পূর্ব পাশ থেকে একের পর এক ছেড়ে যায় চার চাকার ‘ছারপোকা’। মহাসড়কের ৩০ ফুটের ভেতর কোন স্থাপনা নিষিদ্ধ হলেও মাত্র কয়েক ফুটের মধ্যে গাছ-বাঁশের খুঁটি গেড়ে বসিয়েছে লাইন অফিস। সেখান থেকেই কার্যক্রম চালানো হয় এসব ‘ছারপোকা’। এছাড়া মহাসড়কের উপর পার্কিং করে ঘণ্টায় অন্তত অর্ধশত সিএনজি ছেড়ে যায় লোহাগাড়া, পদুয়া, ঠাকুরদিঘী, সাতকানিয়া ডলুব্রিজ, ইছামতি আলীনগরসহ বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশ্য। অন্যদিকে তার ঠিক উল্টোপথে মহাসড়কের একপাশ দখল করে চন্দনাইশ-পটিয়ার উদ্দেশ্যে ছাড়ে এসব ছারপোকা। ফলে সারাদিন ছোট-বড় যানজট লেগেই থাকে। অথচ দুটোস্থানের কয়েক গজের মধ্যেই পুলিশের স্থায়ী ট্রাফিক বক্স।

এছাড়া লোহাগাড়া সদর এলাকা থেকে চকরিয়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, পটিয়া পর্যন্ত যাত্রী বহন চার চাকার ছারপোকা, সিএনজি অটোরিকশা। এছাড়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলোও পিছিয়ে নেই দূরপাল্লার ভাড়া নিতে। সেগুলোও মহাসড়ক দাপড়িয়ে ‍ঘুরে বেড়ায় আশপাশের বিভিন্ন উপজেলায়। ফলে লোহাগাড়া সদর বটতলি মোটর স্টেশন, পদুয়া বাজার বাস স্টেশন, ঠাকুরদিঘি বাজার বাস স্টেশন, আধুনগর বাস স্টেশন ও চুনতি ডেপুটি বাজার বাস স্টেশনের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ায় সারি সারি অটোরিকশা যানজটের অন্যতম কারণ

অভিযোগ রয়েছে, মহাসড়কে গাড়ি চালাতে তাদের মাসিক কিংবা দৈনিক চাঁদা দিতে হয়। সমিতির মাধ্যমে এসব টাকা যায় স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের পকেটে। টাকা না দিলে সমিতির লোকজন গাড়ি ধরিয়ে দেয় পুলিশকে। 

এদিকে থ্রি হুইলার সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ব্যাটারিচালিত রিক্সা, নসিমন, করিমন বন্ধ ঘোষণার পরও মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ওইসব গাড়ি। স্থানীয় প্রশাসন ও হাইওয়ে পুলিশের নির্লিপ্ততা এবং কার্যকর তদারকির অভাবে মহাসড়কে এসব যানবাহন বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে না বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

লোহাগাড়া ট্রাফিক বিভাগের ইনচার্জ আজম মাহমুদ বলেন, লোহাগাড়ায় নতুন যোগদান করেছি। যানজট নিরসন করা যেহেতু আমাদের কাজ, দায়িত্ব পালনে দ্বিধাবোধ করবো না। 

দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি মো. আব্দুর রব জানান, মহাসড়কে নিষিদ্ধ থ্রি-হুইলার গাড়ি মোটেও চলতে পারবে না। প্রতিদিন হাইওয়ে পুলিশের অভিযান চলছে, আটক করে মামলাও দেওয়া হচ্ছে। টাকা লেনদেনের ব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়