অভিযানের প্রতিবাদ
টেরিবাজারে ব্যবসায়ীদের প্রতীকী ধর্মঘট
ছবি : আজীম অনন
শুল্ক গোয়েন্দা, র্যাব ও কোস্টগার্ডের সমন্বিত অভিযানে ‘মালামাল লুঠ ও ব্যবসায়ীদের ওপর গুলিবর্ষণের’ প্রতীকী ধর্মঘট ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন চট্টগ্রামের টেরিবাজারের ব্যবসায়ীরা। তবে দুই ঘণ্টার মানববন্ধন ও সমাবেশের পর পরবর্তী কোনো কর্মসূচি ঘোষণা হয়নি।
শনিবার (২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সব দোকানপাট বন্ধ রেখে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন চট্টগ্রামের অন্যতম এই পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা।
টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতি আয়োজিত এই কর্মসূচিতে প্রায় দুই হাজার দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের পাশাপাশি প্যানেল মেয়রসহ নগরীর বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনের সময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক আরিফ ইফতেখার, চট্টগ্রাম দোকান মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন, মেট্রোপলিটন দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম ও জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মোশতাক আহমেদ চৌধুরী।
টেরিবাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি আমিনুল হক।
আহমদ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার মেয়র মহোদয়ের সাথে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন- হয়রানিমূলক কোনো কিছু আর হবে না। তাই আমরা আপাতত কোনো কর্মসূচি দিইনি।
বৃহস্পতিবার (৩১ মে) দুপুরে টেরিবাজারে অভিযানে যায় শুল্ক গোয়েন্দা, র্যাব ও কোস্টগার্ডের সমন্বিত দল। কয়েকটি দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ ‘চোরাই পণ্য’ জব্দ করার কথা জানায় অভিযানে অংশ নেওয়া র্যাব কর্মকর্তারা।
এসময় মাইকে ঘোষণা দিয়ে সব দোকান বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা সড়কে নেমে পড়েন। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিপেটার পাশাপাশি ফাঁকা গুলি ছোড়েন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সিভয়েস/এসএ/এমইউ
সিভয়েস প্রতিবেদক