Cvoice24.com

বন্ধবীকে সোয়া কোটি টাকা ধার, ফেরত না পেয়ে প্রবাসেই আত্মহত্যা বাঁশখালীর যুবকের

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:১৮, ৩১ মার্চ ২০২১
বন্ধবীকে সোয়া কোটি টাকা ধার, ফেরত না পেয়ে প্রবাসেই আত্মহত্যা বাঁশখালীর যুবকের

অনলাইন বান্ধবীকে সোয়া কোটি টাকা ধার দিয়ে চট্টগ্রামের যুবকের আত্মহত্যা

শেয়ারিং অ্যাপ লাইকি সূত্রে চট্টগ্রাম হালিশহর এলাকার কলেজছাত্রী ফৌজিয়া আনোয়ারের (২২) সঙ্গে যোগাযোগ হয় মোজাম্বিক প্রবাসী মিজানুর রহমান নীলের। বছর চব্বিশের ওই যুবক পতেঙ্গার পার্লার ব্যবসায়ী ঐশী মির্জার (২১) সঙ্গেও সম্পর্ক গড়েন অনলাইনে।

সেই সুবাদে ওই দুই তরুণীকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ধার দেন বাঁশখালীর ছেলে মিজান। আর এসব টাকা নেওয়া হয় ব্যবসার কথা বলেই। কিন্তু সময় গড়ালেও লাভ-আসলের কোনো হিসাবই মিলছিল না। তাই টাকা ফেরত চান মোজাম্বিক ওই প্রবাসী। 

আর টাকা ফেরত চাইলে ভাটা পড়ে সম্পর্কে। এ ঘটনায় বান্ধবী ঐশীকে লাইকিতে লাইভে রেখেই গেল ১০ মার্চ ইঁদুর মারার বিষ খান মিজান। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার ১০ মিনিটির মাথায় মৃত্যু হয়।

দেশটির তেতে প্রদেশে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১টায় মারা যান মিজানুর। তিনি চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব কাহারঘোনার হাজি সিদ্দীক আহাম্মেদের ছেলে।

এ বিষয়ে মিজানুরের বড় ভাই প্রবাসী মো. ওমর কাজী বলেন, ‘আমরা চার ভাই মোজাম্বিকের বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসা করি। এর মধ্যে সবার ছোট ভাই মিজানকে এখানে নিয়ে আসি ২০১৪ সালে। এরপর থেকে ব্যবসার হিসাবসহ টাকা-পয়সা তার কাছেই ছিল।’ 

তিনি বলেন, ‘সবার ছোট হওয়ায় আমরা সবাই খুব আদর করতাম তাকে। আমাদের ধারণা ছিল না সে এমন একটা কাজ করবে। টাকা গেছে সেটা বিষয় নয়, ভাইকে তো হারালাম। ওর আত্মহত্যা করাটা ঠিক হয়নি।’

ওই দুই তরুণীর সঙ্গে মিজানের কত টাকা লেনদেন হয়েছে কিংবা কোন মাধ্যমে গেছে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মোজাম্বিক পুলিশের সহযোগিতা নেওয়া হবে বলে জানান ওমর কাজী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে আমরা মিজানুরের হিসাবে প্রায় সোয়া কোটি টাকার গরমিল পাচ্ছি। মূল প্রতারকদের আইনের আওতায় আনতে বাংলাদেশ ও মোজাম্বিক থেকে পুলিশ কাজ করছে। মিজানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ইতোমধ্যে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।’

ওমর কাজীর কাছ থেকে ঐশী মির্জার মোবাইল নম্বর পেয়ে একাধিকবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু অপরপ্রান্ত থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ফৌজিয়া আনোয়ারও এ ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি হননি।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়