Cvoice24.com

১৯ নর-নারীকে পুড়িয়ে মারে পাকিস্তানি হানাদার

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:৫৮, ৩০ এপ্রিল ২০২১
১৯ নর-নারীকে পুড়িয়ে মারে পাকিস্তানি হানাদার

ছবি: সিভয়েস

আজ ৩০ এপ্রিল পালপাড়া গণহত্যা দিবস। একাত্তর সালের আজকের এই দিনে পাক জান্তারা নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায় চন্দনাইশ উপজেলার পৌরসভার ৮ নম্বর দক্ষিণ গাছবাড়িয়া বুলারতালুক (ক্ষেত্রমোহন পাল) পাল পাড়ায়। একযোগে হত্যা করে স্বাধীনতাকামী ১৯ নারী-পুরুষকে। তাদের হাত থেকে সম্ভ্রম বাঁচাতে জলন্ত আগুনে আত্মাহুতি দেন আলো রানী পাল যিনি একজন ছিলেন এক স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী।

সময়টা ১৯৭১ সালের ৩০ এপ্রিল ভোর রাত। ভোর ৬টায় আবাল বৃদ্ধ বনিতা সবাই যখন ঘুমে বিভোর তখনই রাজাকার ও আল বদরদের সঙ্গে নিয়ে চন্দনাইশের দক্ষিণ গাছবাড়িয়া পাল পাড়ায় (তৎকালীন পটিয়া থানার বর্তমান চন্দনাইশ পৌরসভার অংশ) সংখ্যালঘু অসহায় হিন্দু পরিবারের ওপর আক্রমণ করে পাক হানাদার বাহিনী। বাড়ি-ঘরে আগুন লাগিয়ে হত্যা করে ঘুমন্ত ১৯ জন স্বাধীনতাকামী নিরীহ বাঙালি হিন্দু নর-নারীকে। সেদিন পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে আসা রাজাকাররা গান পাউডার দিয়ে পুড়িয়ে দেয় আরও ৩৩টি বাড়িঘর। লুট করে লাখ লাখ টাকার সহায় সম্পদ।

ওই ঘটনায় শহীদরা হলো, আলো রানী পাল (৩২), খগেন্দ্র পাল (৪৫), সুবল পাল (৫০), কিশোর পাল (৪৫), কৃষ্ণ পাল সাধু (৪০), চাঁদো পাল (১৯), হৃদয় পাল (৩৯), ধনপতি পাল (২২), ক্ষীরোদ পাল (৪৭), উত্তরা পাল (৫২), সাধন পাল (৩৫), পেটান পাল (৩৮), নিশী পাল (৫৫), নিকুঞ্জ পাল (৫৫), অমূল্য পাল (৫৭), সুমন্ত পাল (৫৭), শান্তিপদ নাথ (৪৫), শোভন পাল (৭৫), যুগেনন্দ্র বিজয় নাথ (৬০)।

সেই ঘটনার সাক্ষী নিহত ক্ষীরোদ পালের ছেলে শংকর প্রসাদ পাল (৭১)। তিনি জানিয়েছেন সেদিনের বিভৎসতার কথা। তিনি বলেন, আমার বাবা, চাচা-চাচীসহ পাক সেনারা একাত্তর সালের এইদিনে ১৯ জনকে হত্যা করেছিল। ভাগ্যক্রমে আমি বেঁচে গেছিলাম। তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর।

সেদিনের সেই বেদনাদায়ক স্মৃতি স্মরণ রাখতে স্থানীয় উপজেলা পরিষদ একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করলেও দিনটি ঘিরে কোন আয়োজনের উদ্যোগ এ পর্যন্ত চোখে পড়েনি।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়