Cvoice24.com

ফটিকছড়িতে জমে উঠছে কোরবানি পশুর হাট, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৩১, ১৪ জুলাই ২০২১
ফটিকছড়িতে জমে উঠছে কোরবানি পশুর হাট, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে লকডাউনের মধ্যে ফটিকছড়ির বিভিন্ন এলাকায় জমে উঠেছে পশুর হাট। বিক্রির জন্য হাটে পশু নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা। ভিড়ও বাড়ছে ক্রেতাদের। তবে হাটে আসা ক্রেতা–বিক্রেতাদের মধ্যে নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই। বেশির ভাগ মানুষের মুখে নেই মাস্ক।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে উপজেলার নাজিরহাট, বিবিরহাট, নানুপুর, কাজিরহাট, চিকনচড়া, শান্তিরহাটসহ বিভিন্ন হাটবাজারে কোরবানি পশুর হাট জমে ওঠেছে। বিক্রি হচ্ছে বড়, ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু মহিষ ও ছাগল। ছোট এবং মাঝারি গরুর দাম চড়া।

বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি বছর কোরবানির সময় হাটগুলোতে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের আনাগোনা থাকলেও এবার নেই। করোনাভাইরাসের কারণে এবার কোরবানি দেওয়ার সংখ্যা কম হবে এমন ধারণা করে বিক্রেতারাও অতি আগ্রহী হয়ে কোরবানি পশু সরবরাহ তেমন বাড়ায়নি। তবুও হাটে পর্যাপ্ত গরু, মহিষ, ছাগল থাকলেও সেই অনুপাতে ক্রেতা ছিল না। যার ফলে গরু বেপারীদের কপালে ছিল চিন্তার ভাজ। তবে ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে হাটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। 

ক্রেতা রুবেল বলেন, বাজার ঘুরে দেখলাম দাম চড়া; ব্যাবসায়ীরা গরু ছাড়ছেন না। ৫০ হাজার টাকা দামের গরুগুলো ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা দাম দেওয়া হচ্ছে।

নিজের পালন করা গরু বিক্রি করতে আসা শাহ আলম বলেন, বর্তমান গরু পালন অনেক খরচ। হিসাব করলে গরু পালন করে তেমন লাভ নেই। যা খরচ তা একসাথে উঠে আসে তাই লাভ। 

গরু বেপারি মাহাবুব বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু সংগ্রহ করে আনতে খরচ বেশি পড়ছে। তাই কম দামে ছাড়তে পারছি না।

এদিকে করোনার প্রভাবে সরকার হাট বাজারে স্বাস্থ্যবিধির বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিলেও তেমন স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না হাটবাজারগুলোতে। ফলে করোনা বিস্তারে শংকাবোধ করছেন সচেতন মহল।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়