Cvoice24.com

ফটিকছড়িতে থামছে না সর্তার ভাঙন

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:০১, ২৯ আগস্ট ২০২১
ফটিকছড়িতে থামছে না সর্তার ভাঙন

ফটিকছড়ির সর্তা নদীর বাঁধের ভাঙন থামছে না, বিলীন হচ্ছে জমির পর জমি ও বাড়িঘর। এ ভাঙন কয়েক বছর ধরে মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। এতে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কয়েকশ বসতবাড়ি ও কৃষি জমি। সর্তার করাল গ্রাসে ভিটে-মাটি হারানো পরিবারগুলো বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। হুমকির মুখে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও কয়েকশ বাড়িঘর।

জানা যায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী পার্বত্য এলাকা থেকে উৎপত্তি হয়ে ফটিকছড়ির খিরাম ও ধর্মপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সর্তা নদীর তীব্র স্রোতে সহায় সম্বল ভিটে-মাটি হারিয়ে নিঃস্ব শত শত পরিবার। বর্ষা মৌসুমে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে খিরাম ইউনিয়নের মগকাটা, হচ্ছার ঘাট ও ধর্মপুর ইউনিয়নের কমিটিরহাট ও পূর্ব ধর্মপুর এলাকার সর্তার ভাঙনের কবলে পড়ে বহু পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। প্রতি বর্ষা মৌসুমে চরম উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করে সর্তা নদীর পাড়ের মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, খিরাম ও ধর্মপুর ইউনিয়নের পূর্বপাশের অধিকাংশ এলাকা ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে কৃষি জমি, বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়সহ নানা স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছরে এই এলাকাগুলোর প্রায় চার শতাধিক পরিবার বসতভিটা হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। খালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কয়েকশ একর কৃষি জমি। ভাঙন অব্যাহত থাকলে এবং প্রতিরোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সবই নদীতে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

নদীপাড়ের বাসিন্দা শিরু আক্তার ও মনোয়ারা বেগম বলেন, কয়েক বছর আগে বাড়িসহ বসতভিটা খালে বিলীন হয়ে গেছে। এখন অন্যের জায়গায় বসবাস করছি। তাও আছি হুমকির মুখে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সংবাদকর্মী শাহনেওয়াজ নাজিম জানান, এই এলাকায় খালের ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বিগত দিনে অন্তত দুইশ’ বাড়ি খালে বিলীন হয়ে গেছে। এখনই খাল ভাঙন ঠেকাতে না পারলে অন্যান্য স্থাপনাগুলোও বিলীন হয়ে যাবে।

ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর কাইয়ুম বলেন, ‘পূর্ব ধর্মপুরে কয়েক বছর ধরেই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হলেও পানির শ্রোতে আবারও ভেঙে যায়। তবে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবর আবেদন করেছি। একবার এসে মাফযোগ করে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো কাজ বা খাল ভাঙন ঠেকাতে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে না।’

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, ‘প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে যত দ্রুত সম্ভব নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

-সিভয়েস/আরআই/এএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়