Cvoice24.com

ফটিকছড়িতে শেষ সময়ে নরসুন্দরের কাছে ভিড়

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:১৭, ১৮ এপ্রিল ২০২৩
ফটিকছড়িতে শেষ সময়ে নরসুন্দরের কাছে ভিড়

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। আর কদিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটার পাশাপাশি সাজগোজও অন্যতম। তাই চুল-দাড়ি কেটে নিজেকে পরিপাটি করার এখনই সময়। আর ছেলে-বুড়ো সবাই চুল-দাঁড়ি কাটার প্রয়োজনে ছুটছে নরসুন্দরের কাছে। সে কারণে বাড়ছে ভীড়, তাতেই রাত-দিন এক করে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফটিকছড়ির নরসুন্দররাও। 

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সেলুনগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদের আগ মুহূর্তে যেন দম ফেলবার ফুসরত নেই তাদের। প্রতিটি সেলুনে প্রচণ্ড ভীড়। এই ব্যস্ততা চলছে গভীর রাত আবারও কোথাও কোথাও সেহেরির আগ পর্যন্ত।

অনেক সেলুনে গ্রাহকদের বসার ব্যবস্থাও নেই। বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন সিরিয়াল কখন পড়বে। মা-বাবার সাথে সেলুনে অপেক্ষা করছেন ছোট্ট শিশুরাও। 

তবে মধ্য বয়সী ও বৃদ্ধরা স্বাভাবিক নিয়মে চুল কাটলেও শিশু, বালক ও তরুণদের ভিন্ন ভিন্ন স্টাইলে চুল কাটতে দেখা গেছে। কেউ কেউ আবার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্টাইলে চুল কাটতে জানেন কি না নরসুন্দরদের জিজ্ঞাসা করছে।

সেলুনে চুল দাড়ি কাটতে আসা আবু তৈয়ব বলেন, সেলুনের নিয়মিত কাস্টমার হয়েও সিরিয়াল পেতে কষ্ট হচ্ছে। তাই ঈদের ক’দিন আগেই চুল দাড়ি কাটাতে এলাম।

আরমান নামে এক তরুণ বলেন, ডিজিটার যুগে নেটে ঢু মারলেই চুলের হরেক রকমের স্টাইল চোখে পড়ে, তাই কয়েকটা দেখে পছন্দ মতো ছাট দিলাম। 

তবে ঈদ উপলক্ষ্যে নরসুন্দররা পারিশ্রমিক বেশি নিচ্ছেন বলে জানান গ্রাহকরা।

এ ব্যাপারে কয়েকজন নরসুন্দর জানান, কদিন পরেই ঈদ। এই সময়ে দিনরাত সমান তালে কাজ করেও সিরিয়াল কমাতে পারছি না। নিয়মিত কাস্টমারের পাশাপাশি ভিড় করছেন অনিয়মিতরাও। আর আমরা সারা বছর ঈদের আগে এ সময়টার জন্য অপেক্ষায় থাকি। সেলুনগুলোতে খরচও একটু বেশি হয়। ফলে কাস্টমারের কাছে বখশিসটা দাবি করতেই পারি এবং তারাও খুশি হয়ে তা দিয়ে দিচ্ছেন। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়