Cvoice24.com

হালদায় নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ, প্রস্তুত সংগ্রহকারীরা 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:৪৬, ১৬ মে ২০২২
হালদায় নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ, প্রস্তুত সংগ্রহকারীরা 

হালদায় মা মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে

দেশের কার্প জাতীয় মাছের একমাত্র প্রাকৃতিক প্রজননকেন্দ্র হালদা নদীতে মা মাছ নমুনা ডিম ছাড়তে শুরু করেছে।

সোমবার (১৬ মে) ভোরে হালদা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নমুনা ডিমের চেয়ে একটু বেশি ডিম ছেড়েছে মা মাছ।

তবে পুরোদমে ডিম ছাড়ার জন্য এখনো বজ্রসহ বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের অপেক্ষায় আছে মা মাছ। যদিও কি পরিমাণ নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ তা জানাতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া সিভয়েসকে বলেন, ‘আজকে ভোররাতে নমুনা ডিমের চেয়ে একটু বেশি ডিম ছেড়েছে মা মাছ। পুরোদমে ডিম ছাড়ার জন্য বজ্রসহ বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ডিম সংগ্রহের  জন্য হালদার গড়দুয়ারা নয়া হাট থেকে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ডিম সংগ্রহকারীরা প্রস্তুত আছেন। আমরা এখন এটা নিয়েই কাজ করছি।’

এদিকে, স্থানীয় ডিম সংগ্রহকারী সনজিত বড়ুয়া সিভয়েসকে বলেন, ‘নমুনা দেখে ডিম সংগ্রহের আশায় আমরা গত ৪/৫ রাত হালদার বিভিন্ন পয়েন্টে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি। কিন্তু মা মাছ ডিম ছাড়েনি। গতকাল রোববার (১৫ মে) দিবাগত রাতে প্রচুর বৃষ্টির পর এখন প্রতি খোপে (প্রতিবার) ২০০/৩০০ গ্রাম করে জালে ডিম উঠছে। মা মাছ ডিম ছেড়েছে বলে মনে হচ্ছে, তবে ডিমের সাথে উজানের ঢলের শ্যাওলা বেশি থাকায় পরিষ্কার করতে সময় লাগছে। ’ 

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে হালদায় ডিম সংগ্রহের পরিমাণ ছিল সাড়ে ছয় হাজার কেজি। ২০২০ সালে ছিল ২৫ হাজার ৫৩৬ কেজি। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে হালদায় ডিম সংগ্রহের পরিমাণ ছিল সাত হাজার কেজি। বৈশাখে শুরুতে বজ্রসহ বৃষ্টি তথা কালবৈশাখী হলেই নদীতে ডিম ছাড়বে কার্প জাতীয় মিঠা পানির মা মাছ। 

তবে, ২০২০ সালের হালদা নদীতে ডিম সংগ্রহের প্রকৃত তথ্য নিয়ে গরমিলের অভিযোগও পাওয়া যায়। কিন্তু সব মিলিয়ে জলবায়ুর পরিবর্তনে বা ঋতু পরিবর্তনসহ নানা কারণে হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার স্থান কমে যাচ্ছে। গত বিশ বছরেও যেখানে প্রায় বার থেকে পনেরটি ডিম ছাড়ার স্থান ছিল তা বর্তমানে চার থেকে পাঁচটিতে এসে দাঁড়িয়েছে। আবার প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত ভাসান জাল কিংবা ঘেরা জাল বসিয়ে অহরহ মা মাছ নিধন করা হচ্ছে। যদিও প্রশাসন নিয়মিত অভিযান বা নজরদারিতে রাখছে। কিন্তু পরিবেশ অনূকুলে না থাকায় অনেক সময় মা মাছ ডিম না ছেড়ে তার পেটেই রেখে দেয় আর এতে দূরদূরান্ত থেকে ডিম ছাড়তে আসা মা মাছ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তবে গতবারের মতো এ বছরেও নদীর পরিবেশ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে আর এ কারণে প্রচুর মা মাছের বিচরণ রয়েছে হালদায়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়