Cvoice24.com

খাবারে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে নগদ টাকা-স্বর্ণালংকার লুট, আহত ১০

লোহাগাড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৫৪, ১৪ জুন ২০২১
খাবারে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে নগদ টাকা-স্বর্ণালংকার লুট, আহত ১০

হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন অজ্ঞান হয়ে পড়া দুই পরিবারের দশ সদস্য

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান কাগজপত্র লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দুই পরিবারের ১০ জন সদস্য আহত হয়েছেন।

রবিবার (১৩ জুন) দিনগত রাতে উপজেলার পশ্চিম আমিরাবাদ ঘোনা পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান আহতদের পরিবার। আহতরা বর্তমানে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহতরা হলেন— লোহাগাড়ার পশ্চিম আমিরাবাদ ঘোনা পাড়া এলাকার ইব্রাহিম সওদাগরের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৬০), ছেলে মো. ওসমান গনি (৪০), ওসমান গনির স্ত্রী আমেনা বেগম (৩০), মেয়ে তাসরিন জান্নাত (৮), ছেলে তাসকিনুর রহমান (৬), তার বোন সতকানিয়া  মির্জাখীল বাংলাবাজার এলাকার কামাল উদ্দীনের স্ত্রী জান্নাতুল নাঈমা (২৮), ছেলে ইলমা জান্নাত (৫), একই এলাকার মজুমদার পাড়া এলাকার নারায়ন মজুমদারের স্ত্রী টকি বিশ্বাস (৩৮), মেয়ে পূর্ণ্যতা মজুমদার (১৪) ও ছেলে দিব্যি মজুমদার (১২)।

আহত ওসমান গণি বলেন, ‘প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ি। খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পরপরই পরিবারের সবাই আমার মতো ঝিমুনি দিয়ে পড়ে যেতে দেখেছি। এর পরে আর কিছুই জানি না। তবে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার পর জ্ঞান ফিরে আসলে জানতে পারি বাড়িতে কারা যেন লুট করে সব কিছু নিয়ে গেছে। এছাড়া রাতে দোকান থেকে নিয়ে আসা নগদ ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও স্ত্রীর দেড় ভরি স্বর্ণ আছে সেটিও নিয়ে গেছে। এ ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত করলে বেড়িয়ে আসবে কারা জড়িত।’

এ ঘটনায় আহত টকি বিশ্বাসের স্বামী নারায়ন মজুমদার বলেন, ‘আমি রাতে চট্টগ্রাম শহর থেকে বাড়ি আসি। বাড়ির লোকজন গভীর ঘুমে থাকায় তাদের বিরক্ত না করে খাবার খেতে বসে পড়ি। বাড়িতে রান্না করা খাবার পছন্দ না হওয়ায় একটি ডিম রান্না করে খাবার খেয়ে ঝিমুনি আসায় শুয়ে পড়ি। রাত যখন ১টা তখন বাড়ির দরজা ভাঙ্গা শুরু করলে— কে বলে চিৎকার দিলে পালিয়ে যায় ডাকাতের দল। ভাত খাওয়ার পর ঝিমুনি আসলেও তারা ঘর থেকে কিছুই নিয়ে যেতে পারেনি।’

লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ‘সকালে (সোমবার) পৃথকভাবে শিশুসহ ১০ জন অজ্ঞান রোগী আসলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি দেওয়া হয়। কয়েকজনের জ্ঞান ফিরলেও সুস্থ হয়ে ওঠতে একটু সময় লাগবে।’ তারা কেন অজ্ঞান হয়ে পড়ছে— সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নন বলে জানান তিনি।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (​ওসি) মো. জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি দুই পরিবারে খাবরের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে বাড়িতে লুট করার খবর। এ বাপারে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। তবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়