Cvoice24.com

ঈদের দিন হাসপাতালে গৃহবধূর নিথর দেহ, হত্যার অভিযোগ

লোহাগাড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:০০, ১৭ জুন ২০২৪
ঈদের দিন হাসপাতালে গৃহবধূর নিথর দেহ, হত্যার অভিযোগ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মিজবাহুল জান্নাত তারিন (২০) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার (১৭ জুন) মুসলমানদের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার প্রথম দিন দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কোরবানির ঈদে ছাগল না দেওয়ায় তাকে গলা টিপে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনদের। অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করছে শ্বশুরবাড়ি লোকজন। তবে গৃহবধূর স্বামী এ হত্যার জন্য তা মাকে দায়ী করছে। 

মারা যাওয়া মিজবাহুল জান্নাত তারিন উপজেলার আধুনগর রশিদার ঘোনা গ্রামের নুরুল ইসলাম পুতুর মেয়ে এবং একই উপজেলার চুনতি মিরিখিল গ্রামের ফরিদুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ আরফাতের স্ত্রী।  

নিহতের মা বলেন, ‘গত জানুয়ারি মাসে চুনতি মিরিখিল গ্রামের ফরিদুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ আরফাতের সঙ্গে আমার মেয়ে মিজবাহুল জান্নাত তারিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারিনকে যৌতুকের জন্য নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কোরবান উপলক্ষে তারিনের শাশুড়ি ছাগল দাবি করেছিল। কিন্তু দিতে না পারায় আমার মেয়েকে গলাটিপে অথবা বিষ খাইয়ে মেরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালাচ্ছে। তার মেয়েকে শাশুড়ি পারভিন আক্তার ও ননদ জোবাঈদা আক্তার পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তারিনের শাশুড়ি পারভিন আক্তার বলেন, কোরবান উপলক্ষে কোন কিছু চাওয়া হয়নি। তবে তারা ছাগলের পরিবর্তে ঈদের পর টাকা দিবে বলছিল। কেন বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে সেটা জানি না। এখানে আমাদের দোষের কিছুই নাই।

এদিকে নিহতের স্বামী মো. আরফাত বলেন, কোরবান উপলক্ষে রাতে (রবিবার ১৬ জুন) চাকরি থেকে বাড়িতে আসি। আমাদের সুখের সংসার চলছিল। সকালে ঈদের নামাজ পড়ে এসে জানতে পারি তারিন বিষ খেয়ে বমি করছে। সঙ্গে সঙ্গে  তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তারিন। স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য তার মাকে দায়ী করছেন ছেলে আরফাত।

লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. পৃথ্বীরাজ কর জানান, সকাল ১০ টার পরপরই তারিন নামে এক গৃহবধূকে বিষ খাওয়া অবস্থায় নিয়ে আসে স্বজনরা। দীর্ঘ এক ঘণ্টা চিকিৎসার পর সকাল ১১টার দিকে মারা যায় ওই গৃহবধূ। 

লোহাগাড়া থানার এসআই সত্যজিৎ জানান, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল শেষ করি। হত্যা নাকি আত্মহত্যা বলা যাচ্ছে না। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলেই বিস্তারিত জানা যাবে।


 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: