Cvoice24.com

জোরারগঞ্জে একই পরিবারের ৩ জনকে গলা কেটে হত্যা, বড় ছেলে আটক

মিরসরাই প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ১৪ অক্টোবর ২০২১
জোরারগঞ্জে একই পরিবারের ৩ জনকে গলা কেটে হত্যা, বড় ছেলে আটক

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় একই পরিবারের তিন জনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক বিরোধের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। তবে এসময় ঘরের অন্য রুমে থাকা বড় ছেলে ও তার স্ত্রী অক্ষত ছিলেন।  অভিযোগের তীর বড় ছেলে ছাদেক ও তার স্ত্রীর দিকে। 

বুধবার দিবাগত রাত ৩টায় উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যম সোনাপাহাড় গ্রামের মোস্তফা সওদাগরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে মোস্তফা সওদাগরের বড় ছেলে ছাদেক হোসেনকে (৩০) আটক এবং তার স্ত্রী আইনুর নাহারকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

নিহতরা হলেন— সুফি সাহেবের ছেলে মোস্তফা সওদাগর (৫৬), স্ত্রী জোছনা আরা (৪৫) এবং তাদের ছেলে আহম্মদ হোসেন (২৫)।

জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকায় মোস্তফা সওদাগর ও আহম্মদ হোসেনের একটি মুদি দোকান আছে বলে জানা গেছে।

মোস্তফা সওদাগরের ছোট ছেলে আলতাফ হোসেন বলেন, ‘ভোরে বড় ভাই ছাদেক হোসেন আমাকে ফোন দিয়ে বলেন বাড়িতে ডাকাত এসেছিলো। বাবা, মা ও মেজো ভাইকে (আহম্মদ হোসেন) জবাই করে ফেলেছে। তুই তাড়াতাড়ি আয়, তাদের হাসপাতালে নিতে হবে। আমি বাড়িতে এসে দেখি বাবা, মা আর মেজো ভাইয়ের নিথর দেহ ঘরে পড়ে আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার সময় ঘরে বাবা, মা, বড় ভাই ও তার স্ত্রী এবং মেজো ভাই ছিল। আমি চাকরির কারণে বারইয়ারহাট মাছের আড়তে থাকি। আমার বাবা কিছু জায়গা জমি মেজো ভাইকে দিয়ে দিয়েছিলেন। ওটা নিয়ে বড় ভাইয়ের সঙ্গে প্রায় ঝগড়া হতো। আগামীকাল শুক্রবার মেজো ভাইয়ের বিয়ের ফর্দ হওয়ার কথা ছিল।’

এদিকে সকালে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ, পিবিআই ও চট্টগ্রাম সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের ডিএনএ ও হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে।

জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক জয়দ্রুত চাকমা বলেন, ‘ভোর ৫টায় অজ্ঞাত ব্যক্তির কল পেয়ে মোস্তফা সওদাগরের বাড়িতে গিয়ে দেখি, তিন জনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। তাদেরকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। সবার পিঠ, বুক ও গলায় একাধিক জখম রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। মোস্তফা সওদাগরের বড় ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তার স্ত্রী আইনুর নাহারও পুলিশ হেফাজতে। ঘটনা তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম থেকে পিবিআই আসছে। তারা এলে সুরতহাল প্রতিবেদন করা হবে।’

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মোহাম্মদ লাবিব আব্দুল্লাহ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বাড়ির ভেতর ডাকাতির কোন আলামত পাইনি। ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র গুছানো ছিল। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি পারিবারিক বিরোধ বিশেষ করে সম্পত্তি ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে নির্মম এ খুনের ঘটনা ঘটেছে।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়