Cvoice24.com

ক্লিনিক মালিককে জিম্মি করে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা, আসামি মিরসরাই ছাত্রলীগের আহ্বায়ক

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:৪১, ১৫ আগস্ট ২০২২
ক্লিনিক মালিককে জিম্মি করে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা, আসামি মিরসরাই ছাত্রলীগের আহ্বায়ক

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালের মালিককে চাঁদার দাবিতে জিম্মি করে মারধরের অভিযোগ ওঠেছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের দুই সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে। মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাসুদ রানার নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। 

১৩ আগস্ট (শনিবার) উপজেলার বড় তাকিয়া চক্ষু হাসপাতালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরের দিন ১৪ আগস্ট (রোববার) হাসপাতালের মালিক জসিম উদ্দিনের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন মিরসরাই থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

তবে এ ঘটনায় কোন আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। 

মামলার বিষয়টি সিভয়েসকে নিশ্চিত করেছেন মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন। 

মামলার আসামিরা হলেন- মো. তুরিন (২৭), ইউসুফ (২৮),  মো. মাসুদ রানা (২৭),  আবির (৩৫), সোহেল মেম্বার (৩৫) ও মো. হাসান। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদের মধ্যে তুরিন ও মাসুদ রানা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদ ছাড়াও মাসুদ মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও তুরিন ১০ নম্বর মিঠানালা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তারা দুজনই খুব ঘনিষ্ট বন্ধু এবং বাকিরা তাদের কর্মী। 

জসিম উদ্দিনের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন সিভয়েসকে বলেন, ‘গত ১৩ আগস্ট সকালে আমার স্বামী এবং দুই মেয়ে মুনতাহা কারিনা বৃষ্টি (২০) এবং নুসরাত আফরিন বিথী (১৭) সহ আমাদের বড় তাকিয়া চক্ষু হাসপাতালে যাই। আমরা হাসপাতালে থাকা অবস্থায় দুপুরে তুরিন ও মাসুদসহ ৮/১০ জন তরুণ হাসপাতালে ঢুকে আমার স্বামীকে একটা কক্ষে নিয়ে মারধর শুরু করে।’

স্বামীকে বাঁচাতে রুমে ঢুকার চেষ্টা করলে তাকে ও তার মেয়েদের গালিগালাজ করার অভিযোগ করে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমি এবং আমার দুই মেয়েসহ আমার স্বামীকে উদ্ধার করতে গেলে আসামিরা আমাদেরকে রুমে প্রবেশ করতে না দিয়ে উল্টো গালিগালাজ করে এবং আমাদেরকেও মারধর করার চেষ্টা করে।’

এসময় আমার স্বামী জসিম উদ্দিনকে ওই রুমে ৩ ঘণ্টা আটকে রেখে মারধর করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা আমার স্বামীকে প্রায় তিন ঘণ্টা অফিস কক্ষে মারধর করে। এসময় তারা বলে, আমার স্বামী নাকি হাসপাতালের অভ্যর্থনাকারী (রিসেপশনিস্ট) নাদিমা সুলতানাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। তাকে ৩০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করতে হবে। এসময় আমার স্বামী নাদিমাকে তার সামনে এনে এ বিষয়ে কথা বলার অনুরোধ করলে তারা বিয়ের বদলে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার প্রস্তাব দেয়।’ 

‘পরে তারা আমার স্বামীকে মারধর করে এবং নাদিমাকে বিয়ে করবে এই মর্মে জোরপূর্বক ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে যায়। পরদিন ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না দিলে হাসপাতাল ভাঙচুর করবে বলে হুমকি দেয় তারা। এ ঘটনায় আমরা মিরসরাই থানায় একটা মামলা দায়ের করেছি।’—যোগ করেন সাবিনা ইয়াসমিন।

তবে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়