Cvoice24.com

মিরসরাইয়ে ৪ পা নিয়ে শিশুর জন্ম

মিরসরাই প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৫৭, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩
মিরসরাইয়ে ৪ পা নিয়ে শিশুর জন্ম

মিরসরাইয়ে ৪ পা বিশিষ্ট শিশুর জন্ম দিলেন এক মা

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৪ পা বিশিষ্ট কন্যা শিশুর জন্ম দিলেন নাছরিন আক্তার নামে এক গৃহবধূ। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোররাতে উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভার শেফা ইনসান হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ শিশুরু জন্ম দেন তিনি। ওই গৃহবধূ ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার বাগানবাজার ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাতির খেদা গ্রামের সাইদুল ইসলামের স্ত্রী।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ২ টার দিকে গৃহবধূ নাছরিন আক্তার (১৮) প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে মঙ্গলবার ভোর ৫ টার সময় হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগে অভিজ্ঞ ডা. মারিয়া কিবতিয়ার তত্ত্বাবধানে ৪ পা বিশিষ্ট কন্যা শিশুর জন্ম হয়। শিশুটির ৪ পায়ের মধ্যে ২ টি পা ক্লাব ফুট (মুগর পা) এবং বাকি ২ টি পা অস্বাভাবিক এবং মেরুদন্ড মেনিগোসিল। শিশুটির ওজন ২ কেজি ৮’শ গ্রাম। শিশুটির মা পুরোপুরি সুস্থ্য হলেও শিশুর হালকা শ্বাস কষ্ট রয়েছে।

ওই গৃহবধূর স্বামী সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘২০২০ সালের ১১ মার্চ আমাদের একই গ্রামের হানিফ কোম্পানির ছোট মেয়ে নাছরিন আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। একই বছর বিবাহের ৯ মাসের সময় একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় আমার স্ত্রী। কিন্তু সেই শিশুটি ডেলিভারির সময় মারা যায়। ২ বছরের ব্যবধানে মঙ্গলবার ভোরে বারইয়ারহাট শেফা ইনসান এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দ্বিতীয় শিশুর (কন্যা) জন্ম হয়। সন্তান জন্মগ্রহণের পর সবার মুখে হাসি ফুটে। কিন্তু আমার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন সবার মাঝে দুশ্চিন্তার চাপ এই অস্বাভাবিক কন্যা সন্তান নিয়ে।’

শেফা ইনসান হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগে অভিজ্ঞ ডা. মারিয়া কিবতিয়া বলেন, ‘সোমবার রাত ২ টার দিকে গৃহবধূ নাছরিন আক্তার প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে মঙ্গলবার ভোর ৫ টার সময় ওই গৃহবধূর ৪ পা বিশিষ্ট এক কন্যা শিশুর জম্ম দেন।’

শেফা ইনসান হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নবজাতক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এস এ ফারুক বলেন. ‘৪ পা বিশিষ্ট শিশুটির স্বাভাবিকভাবে জন্ম হয়। তবে তার ৪ পায়ের মধ্যে ২ টি পা ক্লাব ফুট (মুগর পা) এবং বাকি ২ টি পা অস্বাভাবিক এবং মেরুদন্ড মেনিগোসিল। শিশুটির ওজন ২ কেজি ৮’শ গ্রাম। শিশুটির মা পুরোপুরি সুস্থ্য আছে। তবে শিশুর হালকা শ্বাস কষ্ট রয়েছে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়