Cvoice24.com

চন্দনাইশে ব্রি-৬৭ ধানের বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে শঙ্কা

মো. নুরুল আলম, চন্দনাইশ

প্রকাশিত: ২০:২৫, ১৯ এপ্রিল ২০২১
চন্দনাইশে ব্রি-৬৭ ধানের বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে শঙ্কা

চন্দনাইশে ব্রি-৬৭ জাতের ধানের বাম্পার ফলন

চন্দনাইশে ব্রি-৬৭ জাতের ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সোমবার (১৯ এপ্রিল) কৃষি বিভাগ নমুনা শস্য কাটার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা শুরু করেছে। আগামী ১ মাসের মধ্যেই সব ধান উঠে যাবে এমনটা আশা কৃষি বিভাগের। তবে বাজারে ধান উঠতে না উঠতেই দাম কমতে শুরু করায় ভরা মৌসুমে নায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কায় তারা। এছাড়া লকডাউনের মধ্যে শ্রমিকের মজুরি নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বোরো মৌসুমে চন্দনাইশের ২টি পৌরসভাসহ উপজেলার ৮ ইউনিয়নে এবার ৪০ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান ৬৭ জাতের বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানটির ফলন ভালো হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হবে বলে আশা কৃষিবিভাগের। এ বছর ধানে রোগবালাই যথেষ্ট কম হয়েছে। কৃষকরা যেন বছরের একটিমাত্র ফসল বোরো ধান নিরাপদে-নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে পারে সেজন্য নানা ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন নতুন এই জাতের ধান সম্পর্কে বলেন, এই ধানের জাত লবণাক্ততা সহনশীল।   চালের আকৃতি মাঝারি চিকন। ভাত সাদা ও ঝরঝরে। তাই খেতেও সুস্বাদু। প্রচলিত  অন্যান্য  জাতের চেয়ে এ ধানে রোগবালাই এবং পোকার আক্রমণ কম হয়। তাই কৃষক ফলনও বেশি পায়।

কৃষকরা জানিয়েছে, গত কয়েক বছরের চেয়ে এবার উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বেশির ভাগ জমির ধানই পাকতে শুরু করেছে। ধান ঘরে তুলতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। শ্রমিক সংকট ও কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বিপর্যয় দেখা না দিলে আগামী ১ মাসের মধ্যে সব ধান ঘরে তোলা যাবে।
 
উপজেলার কানাইমাদারী গ্রামের আবদুর ছমদ বলেন, ২ একর বোরো ৬৭ জাতের ধান কেটেছি। ফলন ভালো হয়েছে। বর্তমানে ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো। তবে ভরা মৌসুমে ধানের নায্য মূল্য পেলে কৃষকরা লাভবান হবে।

পরবর্তীতে আবারও এ ধান উৎপাদনের ব্যপারে জানতে চাইলে অধিকাংশ কৃষক জানান, তাদের বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে। পাশাপাশি যে কোন ধরনের অসুবিধার জন্য উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা পাওয়া গেছে। নায্য দাম পেলে তারা এ ধান উৎপাদন অব্যাহত রাখবেন।

চন্দনাইশ  উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ স্মৃতি রাণী সরকার জানান, এবার চন্দনাইশ উপজেলায় ব্রি ধান ৬৭ জাতের বোরা ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলা চলে। আজকে সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে সব ধান ঘরে তোলা সম্ভব। এবছর  লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছি। এ বছর ধানে রোগবালাইও যথেষ্ট কম হয়েছে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়