Cvoice24.com

সবাই যেন `কসাই`

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:১০, ২১ জুলাই ২০২১
সবাই যেন `কসাই`

পেশাদার কসাই নয়, তাই গরুর মাংস কাটার তেমন অভিজ্ঞতা নেই। তাতে কি হয়েছে। অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কসাই না হলেও আজ সবাই 'কসাই'।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কোরবানি দিয়ে পরিবারের বড় ছোট সকলেই মিলে মাংস কাটার এমন দৃশ্য পরিলক্ষিত হচ্ছে ফটিকছড়িতে। যারা কোরবান করছেন তারা ঈদের নামায শেষে পশু জবাই দিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কাটাকুটিতে। তবে সবার কসাই কাজে অভিজ্ঞতা না থাকলেও সকলেই আনন্দের সহিত মাংস কেটে রান্নার উপযোগী করছেন। আবার অনেকে তাড়াতাড়ি শেষ করতে রেখেছেন কসাইদের। 

উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, আনন্দ উৎসবের মধ্যে দিয়ে কোরবানি পশুর মাংস কাটছেন কোরবানি দাতারা। কেউ কোরবানি পশুর পা ধরছেন, কেউ চামড়া আলেদা করছেন আবার কেউ মাংস কাটছেন। এভাবে সকলে মিলে মাংস কাটছেন কসাই সাজে। পরিবারের ছোট্ট সদস্যটিও কিছু না কিছু করছে। আর বয়োবৃদ্ধ যিনি পারছেন না তিনি দেখিয়ে দিচ্ছেন। মহিলারাও হাতে হাত লাগিয়ে সহযোগিতা করছেন এবং রান্নার উপযোগী হলে রান্না করছেন।

মোহাম্মদ এয়াকুব বলেন, পেশাদার কসাই না হলেও বছরে একবার পবিত্র কোরবানির সময় কসাই সাজতে হয়।

রুবেল হোসেন বলেন, সকলে মিলে মাংস কাটতে ভাল লাগে। পবিত্র এ দিনে কসাই সেজে কাজ করতে বেশ আনন্দ লাগে।

তবে সাজু ইসলাম বলছেন, কোরবানির পর গরুর  হাড় কাটাকুটি ঝামেলার কাজ। এই কাজ করতে নিজেরা করদে কষ্ট হয়। তাই কসাই হিসেবে দু’জনকে এনেছি। তাদের সহযোগিতায় দুপুরের মধ্যে সব মাংস ঘরে তুলতে পেরেছি। তবে তারা কসাই না হলেও কাটাকাটির বেশ কিছু নিয়ম তারা জানেন।

সারা ফটিকছড়ি জুড়ে চলছে পবিত্র ঈদুল আযহার আমেজ। গরিব দুঃখীদের মাঝে বিতরণ করছেন, সকলে মিলে রান্না করা মাংস খাচ্ছেন, আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। একে অপরে পাড়া প্রতিবেশি, আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে বেড়াতেও যাচ্ছেনম মাংসা কাটা শেষ হয়েছে কিনা খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এক কথায় ফটিকছড়ি জুড়ে অন্যরকম দৃশ্য পরিলক্ষিত হচ্ছে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়