Cvoice24.com

স্ত্রীর ধারের টাকা না পেয়ে স্বামীকে কোপানোর মামলায় প্রধান দুই আসামি গ্রেপ্তার

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ১৩ মে ২০২২
স্ত্রীর ধারের টাকা না পেয়ে স্বামীকে কোপানোর মামলায় প্রধান দুই আসামি গ্রেপ্তার

সীতাকুণ্ডে সুদের টাকার জন্য প্রতিবেশীকে কোপানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার মীর হোসেন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সুদের টাকার জন্য প্রতিবেশীকে কোপানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান দুই আসামি মো. সৌরভ হোসেন ও মীর হোসেন র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ মে) ভোরে চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর ছোটপুল ও মিরসরাইয়ের নিজামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তাররা হলেন— সীতাকুণ্ডের পূর্ব সৈয়দপুরের মৃতি নূর হোসেনের ছেলে মো. সৌরভ হোসেন (২২), ও একই এলাকার মৃত কালা মিস্ত্রির ছেলে মো. মীর হোসেন (৫০)।

র‌্যাব জানায়, গত ১৩ এপ্রিল সুদের ১০ হাজার টাকার জন্য আবুল মুনসুর নামের এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে কোপায় মো. মীর হোসেন ও তার সহযোগীরা । পরদিন এ ঘটনায় আবুল মুনসুরের ছেলে মো. শাকিল বাদী হয়ে  একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে পুলিশের পাশাপাশি মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারীর এক পর্যায়ে মামলার প্রধান আসামি মো. সৌরভ হোসেন ও ঘটনার মূল হোতা মীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয় র‌্যাব।

স্ত্রীর ধারের টাকা না পেয়ে স্বামীকে কোপাল পাওনাদার প্রতিবেশি, মামলা তুলে নিতে ছেলেকে হুমকি

র‌্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার সিভয়েসকে জানান, সীতাকুণ্ডে সুদের টাকার জন্য প্রতিবেশীকে কোপানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই আসামিকে চট্টগ্রাম নগর ও মিরসরাই থেকে  অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাদের সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সংসারের অভাবের কারণে ফসল তুলতে প্রতিবেশী মীর হোসেনের কাছ থেকে ৭ মাস আগে ১০ হাজার টাকা ধার নেন ঝরনা বেগম। ঘটনার কয়েকদিন আগে সেই টাকা পরিশোধও করেন তিনি। দিতে দেরি হওয়ায় ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে আরো ১০ হাজার টাকা সুদ দাবি করেন মীর হোসেন। তাও দিবেন বলে জানায় ঝরনা বেগম তবে ২০ দিন সময় চেয়ে ঈদের পর দিবেন বলে জানান। আর তাতেই বাধেঁ বিপত্তি। সে সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায় মীর হোসেন। তবে একই রাতে তারাবির নামাজ পড়ে বাড়ি যাওয়ার সময় মো. মীর হোসেন ও তার সহযোগীরা ঝরনা বেগমের স্বামী আবুল মুনসুরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারা গেছে মনে করে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাড়ি নিয়ে আসলেও এখনো সুস্থ হননি তিনি।
 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়