Cvoice24.com

জনপ্রতিনিধিরা এক পক্ষের হয়ে কাজ করছেন—স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ২২ মে ২০২২
জনপ্রতিনিধিরা এক পক্ষের হয়ে কাজ করছেন—স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক

ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিবেরা আরও আন্তরিক হলে গ্রাম আদালতের সার্বিক কার্যক্রম বেগবান হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) বদিউল আলম। 

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে মানুষ গ্রাম আদালতের বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা হারাচ্ছে। জনপ্রতিনিধিরা কোনো এক পক্ষের হয়ে কাজ করেন বলেই বিচারপ্রার্থীরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। বাস্তব পরিস্থিতি দেখে ন্যায় বিচার করলে গ্রাম আদালতে গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে।’

গ্রাম আদালতের কার্যক্রমের অগ্রগতি ও পরিচালনা দিক-নির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে ইউপি সচিবদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বদিউল আলম। 
রোববার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সভার আয়োজন করেন। 

সভায় সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, ফটিকছড়ি, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউএনডিপি প্রতিনিধি, প্রকল্পভূক্ত এলাকার ইউপি সচিবেরা অংশগ্রহণ করেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (স্থানীয় সরকার) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূর জাহান আক্তার সাথীর সঞ্চালনায় সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এভিসিবি-২ প্রকল্পের ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট উজ্জ্বল কুমার দাস চৌধুরী। 

বক্তব্য দেন সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন, ফটিকছড়ির ইউএনও মো. সাব্বির রাহমান, সাতকানিয়ার ইউএনও ফাতেমা-তুজ জোহরা ও লোহাগাড়ার ইউএনও মো. শরীফ উল্যাহ।

সভায় বক্তারা বলেন, বিভিন্ন কারণে দেশে বিচারিক আদালতে মামলার বিরাট জট তৈরি হয়েছে। যদি দেশে গ্রাম আদালত কার্যক্রম সক্রিয় করা সম্ভব হয় তবে মামলার জট নিরসনের পাশাপাশি অল্প সময়ে, স্বল্প খরচে সাধারণ মানুষজন বিচারিক সেবা পাবেন। এতে করে সমাজে শান্তি-শৃংখলা বজায় থাকবে এবং মানুষ অর্থনৈতিক ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পাবে।

সভায় বক্তারা আরও বলেন, জেলার বর্তমান গ্রাম আদালতের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য অবশ্যই ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সচিবদের মধ্যে সুসমন্বয় গড়ে তোলা এবং যার যার অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। একই সঙ্গে গ্রাম আদালতের মাসিক ও ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করে নিয়মিত উপজেলা ও জেলায় পাঠাতে হবে। গ্রাম আদালতের সক্রিয়তা ও গ্রাম আদালতের বিচারিক মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্যে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়