Cvoice24.com

অশ্রুসিক্ত নয়নে প্রিয় শিক্ষককে চির বিদায় ছাত্রদের

মীরসরাই প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:১২, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
অশ্রুসিক্ত নয়নে প্রিয় শিক্ষককে চির বিদায় ছাত্রদের

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার শতবর্ষী আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক শেখ জাফর সাদেক (৬৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম ও সাড়ে তিনটায় নিজ গ্রামে দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।

তিনি উপজেলার মায়ানী ইউনিয়নের মধ্যম মায়ানী ইউনিয়নের শেখ হামিদ মুহূরী বাড়ির মৃত একেএম নূরের ছাফার পুত্র। তার মৃত্যুতে পুরো উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে আসে। জানাযায় ছুটে আসেন সাবেক শিক্ষক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এম আলাউদ্দিন, মিরসরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ফেরদৌস হোসেন আরিফ, মায়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহমদ নিজামী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হুমায়ুন কবির খান, চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার খায়রুল মোস্তফা, উপজেলা আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক ও আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন বাবুল, মঘাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফায়েল উল্ল্যা চৌধুরী নাজমুল, আবুতোরাব ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শফিকুল ইসলাম নিজামী।

শেখ জাফর সাদেক কুমিরা মছজিদ্দা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। দীর্ঘ ১৫ বছর শিক্ষাকতা করেন তিনি ওই বিদ্যালয়ে। পরে করেরহাট কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর বাড়বকুন্ড উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হিসেবে ৩ বছর শিক্ষকতা করেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি উপজেলার শতবর্ষী স্কুল আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১২ বছরেরও বেশী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৭ সালে তিনি অবসরে গেছেন।
জাফর সাদেকের বড় ছেলে মোহাম্মদ হাসনাত রিয়াজ সাথিল বলেন, আমার বাবা দীর্ঘ ৩৫ বছরেরও বেশী সময় ধরে শিক্ষাকতা জীবন কাটিয়েছেন। বাবার মৃত্যুতে আমরা আজ এতিম হয়ে গেলাম। আমাদের পরিবারের জন্য সবাই দোয়া করবেন। আল্লাহ যাতে আমার বাবার সকল ভুলক্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে এক মেয়ে আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী রেখে গেছেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়