Cvoice24.com

সাতকানিয়ায় নির্বিচারে পাহাড় কাটছে বল্লী আমিন

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৩৪, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
সাতকানিয়ায় নির্বিচারে পাহাড় কাটছে বল্লী আমিন

সাতকানিয়ার পুরানগড় ইউনিয়নে নির্বিচারে বন বিভাগের পাহাড় কেটে বিক্রি করছে এলাকার একটি সিন্ডিকেট

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার পুরানগড় ইউনিয়নের মনেয়াবাদ এলাকায় প্রকাশ্যে দিবালোকে নির্বিচারে বন বিভাগের পাহাড় কাটছে এলাকার একটি সিন্ডিকেট। স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে ডাম্পারযোগে মাটি বিক্রি করছে বিভিন্ন ভরাট কাজে। ওই পাহাড় কাটা সিন্ডিকেটের  মূলহোতা পুরানগড় এলাকার নুরুল আমিন প্রকাশ বল্লী আমিন। 

স্থানীয় বন বিভাগের লোকজন সরকারী জায়গায় মাটি কাটতে বাধা দিলেও পাহাড় নিজেদের দাবি করে কোন বাধাই মানছে না মাটি খেকো সিন্ডিকেট। এবিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন বড়দুয়ারা বিট কাম চেক স্টেশনের কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাতকানিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

জানা যায়, বড়দুয়ারা বিটের আওতাধীন কোদালা মৌজার আর এস ৬৭ খতিয়ানের ৭৬ নম্বর দাগের বনবিভাগের গেজেটভুক্ত পাহাড় কেটে গত এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন স্থানে ভরাট কাজে মাটি সরবরাহ করে আসছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে স্কেভেটর দিয়ে নির্বিচারে মাটি কেটে নিমিষেই বিলীন করে দিচ্ছে পাহাড়গুলো। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে মিনি ট্রাকে (ডাম্পার) করে একই গ্রামের সেনাবাহিনীর ফায়ারিং মাঠ ভরাট করা হচ্ছে। জমির মালিকানা দাবিদার নুরুল আমিন প্রকাশ বল্লী আমিন জানান, বাংলাদেশ সরকার ১৯৫৪ সালে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে জায়গাটি বন্দোবস্তি দেয়। পরে ওই ব্যক্তির নামে বিএস রেকর্ড হয়। বিএস রেকর্ডিয় মালিক থেকে আমি জায়গাটি ক্রয় করে অনেক বছর ধরে দখলে আছি। স্থানীয় কিছু ব্যক্তির অনুরোধে পার্শ্ববর্তী সেনাবাহিনীর মাঠ ভরাটের জন্য অল্প মাটি দিচ্ছি। হঠাৎ করে এখন বন বিভাগের লোকজন এসে গ্যাজেটমূলে জায়গাটি তাদের দাবি করছে।

পুরানগড় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আ.ফ.ম. মাহবুবুল হক সিকদার জানান, পাহাড় কাটতে দেখে আমি তাদের বাধা দিয়েছিলাম। পরে নুরুল আমিন প্রকাশ বল্লী আমিন তার মালিকানার কাগজপত্র দেখালে আমি আর বাধা দিইনি। আরএস এবং বিএস খতিয়ানে ওই পাহাড় ব্যক্তিমালিকানার জায়গা। তিনি আরো বলেন, গেজেটের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। শুনেছি ওই পাহাড় বন বিভাগের গেজেটভুক্ত সম্পত্তি। 

বড়দুয়ারা বিট কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, পাহাড়টি বন বিভাগের গেজেটভুক্ত সম্পত্তি। নুরুল আমিন প্রকাশ বল্লী আমিন ও মো. সোহেল সিন্ডিকেট করে অবৈধভাবে বন বিভাগের পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে। আমি ঘটনাস্থল গিয়ে পরিমাপ করে জায়গাটি বন বিভাগের বলে আসলেও তারা মাটিকাটা বন্ধ করছে না। বিষয়টি আমি স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তাছাড়া এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে মামলা প্রক্রিয়াধীন।  

পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার জানান, পুরানগড় ইউনিয়নের মনেয়াবাদ এলাকায় বন বিভাগের পাহাড় কাটার অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়