Cvoice24.com

ফেসবুক লাইভে এসে ৪ মাঝিকে হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা রোহিঙ্গা যুবকের

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৫৩, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
ফেসবুক লাইভে এসে ৪ মাঝিকে হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা রোহিঙ্গা যুবকের

হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিচ্ছে রোহিঙ্গা যুবক হাশিম

সম্প্রতি কক্সবাজারের কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যার ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ উত্তেজনা চলছে। ঠিক এই সময়ে উখিয়ার ক্যাম্পে এক মাসে চার মাঝিকে হত্যার বিষয়ে ফেসবুক লাইভে এসে হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দিল মোহাম্মদ হাশিম (২০) নামের এক রোহিঙ্গা যুবক। সে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘ইসলামী মাহাজ’ নামে একটি সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করেছে।

ওই যুবক উখিয়া ১৮নং ক্যাম্পে ব্লক ৯৩’র আব্দুল জব্বারের পুত্র। তার ফেসবুক লাইভের ভিডিওতে দেখা যায়, সে একটি অস্ত্র নিয়ে ভিডিওতে এসে চার মাঝির মধ্যে কাকে কিভাবে হত্যা করেছে তার রোমহর্ষক বর্ণনা দিচ্ছেন।  

মোহাম্মদ হাশিম লাইভে বলেন, তার মত ২৫জন যুবককে অস্ত্র দিয়েছে ইসলাসী সংগঠন মাহাজ। যাদের কাজ ছিল হত্যার মিশন বাস্তবায়ন। যার জন্য আমাদের দেওয়া হতো মোটা অংকের টাকা। আমাদের মূল কাজ ছিল যারা প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করে তাদের হত্যা করা। সম্প্রতি সময় ৫-৬ দিনের মধ্যে আমরা ৩ মাঝিসহ এই স্বেচ্ছাসেবককে হত্যা করেছি। 

লাইভে খুনের শিকার মাঝিদের নামও বলেছেন এই যুবক। তিনি বলেছেন, ১৮নম্বর ক্যাম্পের হেড মাঝি জাফর, ৭ নম্বর ক্যাম্পের ইসমাঈল, কুতুপালং এক্সটেনশন ক্যাম্প-৪ এইচ ব্লকের এরশাদ ও হেড মাঝি আজিমুল্লাহকে হত্যা করেছে তারা। 

একইভাবে লাইভে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ ইসলামী মাহাজ সংগঠনের চার মুখপাত্রের নামও বলেন মোহাম্মদ হাশিম। তারা হলেন— জিম্মাদার সাহাব উদ্দিন, রহমত উল্লাহ, হেড মাঝি ভুইয়া, মৌলভী রফিক। এই চারজন সংগঠনটির নেতৃত্ব দিতেন বলে জানান এই রোহিঙ্গা যুবক। 

লাইভে মোহাম্মদ হাশিম আরো বলেন, তাদের সামনে আরো বড় মিশন ছিল। কিন্তু সে নিজের  ভুল বুঝতে পেরেছে। তাই এই খারাপ জগত ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চান।

এদিকে মোহাম্মদ হাশিমের সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এই ভিডিও প্রচারের পর থেকে ক্যাম্পে মাঝিসহ নেতৃস্থানীয় রোহিঙ্গাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে ।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়