Cvoice24.com

জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও হলেন সীতাকুণ্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৫৯, ২ অক্টোবর ২০২২
জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও হলেন সীতাকুণ্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা

বামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন ও ডানে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরোচ্ছোফা।

প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নির্বাচিত হয়েছেন সীতাকুণ্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন। একইসঙ্গে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচিত হন সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরোচ্ছোফা। 

রবিবার (২ অক্টোবর) চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই ঘোষণা জানানো হয়। 

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, গত অর্থবছরে সীতাকুণ্ড উপজেলায় গৃহীত উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ৫০লাখ টাকা অর্থায়নে ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়েটিং শেড নির্মাণ করা। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ স্থানীয় সংসদ সদস্যের নামে এই অর্থ বরাদ্দ দেয়। সংসদ সদস্যকে অনুরোধ করে বরাদ্দের সম্পূর্ণ অর্থ অভিভাবকদের জন্য ওয়েটিং শেড কাম ব্রেস্ট ফিডিং রুম নির্মাণ কাজে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ সহযোগিতার আওতায় পাওয়া “বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তার (পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত) কর্মসূচী” হতে প্রাপ্ত ৯ লাখ টাকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রীদের মাঝে নগদ অর্থ ও সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে। 

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) আওতায় ২ লাখ টাকা খরচ করা হয় গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণের কাজে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের জন্য সোনাইছড়ি ত্রিপুরা পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় বেসরকারিভাবে ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। একইভাবে বেসরকারি উদ্যোগে ২৪টি বিদ্যালয়ের ৪৪টি শ্রেণীকক্ষ সংষ্কার করা হয়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরোচ্ছোফা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দিক নির্দেশনা ও মাননীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ, অভাবকবৃন্দ ও এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগীদের সহায়তায় এই সম্মান অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এটি আমার নয় পুরো সীতাকুণ্ডবাসীর অর্জন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে প্রাথমিক শিক্ষার কোন বিকল্প নাই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘কাজের স্বীকৃতি পেলে দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। জাতির উন্নয়নে শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। প্রাথমিকে শিকড় মজবুত হলে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের বেগ পেতে হয়না।” গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়