এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ আরেক প্রধান শিক্ষকের
সিভয়েস প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়মবহির্ভূতভাবে (বছরের মাঝামাঝি জুন মাস শেষে লটারিবিহীন) শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর অভিযোগ ওঠেছে।
মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেলের দিকে হাটহাজারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাটহাজারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ভর্তিকৃত মেধাবী শিক্ষার্থী আনফালকে (৮ম শ্রেণির ‘ক’ শাখার রোল নম্বর ১) প্রলোভনের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে চলতি বছরের গত ১৪ জুন বুধবার হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করান প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন। ওই শিক্ষার্থী হাটহাজারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অনুষ্ঠিত অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করেছিল। এভাবে বছরের মাঝামাঝি জুন মাস শেষে লটারিবিহীন কিভাবে সরকারী স্কুলে তিনি শিক্ষার্থী ভর্তি করান।
হাটহাজারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, এর আগেও ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন আমার স্কুলের আরও দুই মেধাবী শিক্ষার্থী (৮ম শ্রেণির ‘গ’ শাখার রোল নম্বর ৭ নুজহাত সালসাবিল ও ‘ক’ শাখার রোল নম্বর ৫ নুদরাতুন নাঈম) বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ভর্তি করিয়েছিলেন। যা বেআইনি, ভর্তি নিষিদ্ধ ও গর্হিত কাজ।
অভিযোগকারী প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, ওই প্রতিষ্ঠান প্রধান এমন বেআইনি, ভর্তি নিষিদ্ধ ও গর্হিত কাজ করায় আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে ওই অভিযোগের অনুলিপি প্রেরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, আমার বিরুদ্ধে তিনি যে অভিযোগ করেছেন তা মনগড়া, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর অভাব পড়েনি যে কাউকে প্রলোভন দেখিয়ে এ স্কুলে এনে ভর্তি করাতে হবে। আর শিক্ষার্থী কোথায় কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন সেটা অভিভাবকরাই ঠিক করবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহিদুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বুধবার রাতে গণমাধ্যমকে জানান, এ বিষয়ে উভয়পক্ষকে নিয়ে শুনানি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।