থাকেন না চিকিৎসক, সই হয়ে যায় হাজিরা বইয়ে
সিভয়েস প্রতিবেদক
সোমবার, সকাল সাড়ে ১১ টা। তালাবদ্ধ বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছুড়ি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। হাসপাতালের কেউ নেই, বাইরে কয়েকজন রোগী। নিয়মনুযায়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থাকার কথা মেডিকেল অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌসকে। হাজিরা খাতায় সই আছে, তবে তিনি নেই। দুপুর প্রায় ১টা নাগাদ গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নাজমুল হাসান। তারও সাক্ষর ছিল বইয়ে।
চিকিৎসক ও তাঁর অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে কোন উত্তর দেননি তিনি। বলেছেন ‘স্যার সকালে এসে চলে গেছেন।’
রোগীদের ভাষ্যমতে, সরকারি সময়নুযায়ী নয় চিকিৎসকদের ইচ্ছেমতো খোলা হয় এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বন্ধও হয় তাদের ইচ্ছেমতো। কপাল ভালো হলে তাদের পাওয়া যায়। নয়তো নিজেদের ব্যবস্থা নিজেদেরই করে নিতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মো. শফিউর রহমান মজুমদার বলছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দুদিন ছাড়া বাকি চারদিনই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের। সোমবারের ঘটনাটি তাঁর জানা নেই। খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।