Cvoice24.com

যুবলীগ নেতা এলিটকে নিয়ে ‘অপপ্রচার’, গ্রেপ্তার ১

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৭:৫০, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
যুবলীগ নেতা এলিটকে নিয়ে ‘অপপ্রচার’, গ্রেপ্তার ১

গ্রেপ্তার আবুল হাসনাত ওরফে হাবিব খান।

কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘অপপ্রচার’ এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় আবুল হাসনাত ওরফে হাবিব খান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের লতিফিয়া গেট স্বপ্না মঞ্জিল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আবুল হাসনাত ওরফে হাবিব খানের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মেঝ ছেলে মাহবুব রহমান রুহেলের ব্যক্তিগত সহকারী।

জানা যায়, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এলিটের বিরুদ্ধে আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। এর প্রেক্ষিতে গত ৩ আগস্ট যুবলীগ কর্মী মো. আছিফুর রহমান বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন— জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টার, মো. মাহফুজুল হক প্রকাশ লেবার জুনু এবং মো. আনিসুর রহমান প্রকাশ রিফাত। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টার ও লেবার জুনুর বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এবং আনিসুর রহমান প্রকাশ রিফাতের বাড়ি চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জে। তারা সবাই সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের অনুসারী বলে জানা গেছে।

এছাড়াও আবুল হাসনাত ওরফে হাবিব খান ও জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টারের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা ও ভাংচুরের ঘটনায় মিরসরাই থানায় একধিক মামলা রয়েছে। এসকল মামলায় জাহাঙ্গীর হোসেন ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসামি আবুল হাসনাত প্রকাশ হাবিব খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের জাতীয় পরিচয় পত্র ও ছবিসহ আক্রমণাত্মক পোস্ট করে। এছাড়াও মিথ্যা ও বানোয়াট এবং উস্কানিমূলক তথ্য উপস্থাপন করে। 

এসব বিষয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় চলতি বছরের গত ১৭ জুন মামলার বাদী আছিফুর রহমান শাহিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও গুরুতর জখম করে। পরে এ ঘটনায় মিরসরাই থানায় একটি মামলা করা হয়।

ওই বিষয়ের জের ধরে গত ২১ জুন ও বিভিন্ন সময়ে আসামিরা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের বিকৃত ছবি ও বাদির ছবি এবং পরিবারের নামসহ একসঙ্গে করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসামি জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টার তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করেন। এ ঘটনায় আছিফুর রহমান বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলা করেন।

যুবলীগ কর্মী মো, আছিফুর রহমান বলেন, ‘আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের বিরুদ্ধ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। বিষয়টি নিয়ে আসামিদের বার বার সতর্ক করা হলেও তারা কর্ণপাত করেননি। বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর পাশাপাশি আসামিরা বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা করেছে। এমনকি গত ১৭ জুন মিরসরাইয়ে এলিটের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচারের সময় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রচারণায় অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের উপর হামলা হয়।’

উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন মিরসরাই ইকোনমিক জোনের দিকে যাচ্ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। এসময় সড়কে বালুর ট্রাক দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন মঘাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন। পরে জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে তৌহিদ আনোয়ার বাপ্পি, আবদুল্লাহ আল নাঈম রবিন, ফিরোজ খান, আবু নাসির রিপন, মোমিনুল ইসলামসহ প্রায় অর্ধশত অস্ত্রধারী হামলা চালায়। 

এ ঘটনায় নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের প্রধান রাজনৈতিক সমন্বয়ক ও বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক যুবলীগ নেতা আছিফুর রহমান শাহীন, যুবলীগ নেতা মো. আলী, রমজান আলী বাবলু, শওকত আজিম রিংকু, মো. শাহাবুদ্দিনসহ আরও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা আছিফুর রহমান শাহীন বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০-৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মিরসরাই থানায় মামলা করেন।

এর আগে, গেল বছরের ১৯ ডিসেম্বর খৈয়াছড়ার নয়দুয়ার নিজ বাড়িতে অসহায় দুস্থ শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণের সময় হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানো হয়। 

এরপর, গত ১৮ ও ২০ এপ্রিল যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের পক্ষে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও শেখ মনির ছবি সম্বলিত কেন্দ্রীয় নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের ঈদ পোস্টার লাগানোর সময় নেতাকর্মীদের মারধর করে পোস্টারগুলো ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে দেন। ওই ঘটনায় জোরারগঞ্জ ও মিরসরাই থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়