পটিয়ার মানুষের পাশে থাকতে চান যুবলীগের বদিউল আলম
পটিয়া প্রতিনিধি
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম পটিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পটিয়ার একটি রেস্টুরেন্টে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশার কথা জানান কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক এই নেতা।
এসময় তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দাবি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া সংসদীয় আসনে অনিয়ম, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য ও অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা বহিরাগত ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে দলের ত্যাগী নেতাদের মধ্য থেকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চাইব। আমাকে যদি দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে এ আসনে বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত হবে। আর যদি কোনো কারণে আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্য কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলেও আমি দলের পক্ষে সবাইকে নিয়ে কাজ করবো।
বদিউল আলম বলেন, পটিয়া হাজার হাজার কোটি টাকার যে উন্নয়ন হয়েছে বলা হচ্ছে সে উন্নয়ন গুলো পটিয়াবাসীকে সাথে নিয়ে প্রত্যক্ষভাবে দেখানোর দাবি করছি। কারণ কোথায় কি উন্নয়ন হয়েছে তা পটিয়াবাসী দেখতে চায়।
তিনি আরো বলেন, পটিয়াবাসী যাকে চায় তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি জয়ী হয়ে আসতে পারবে। পটিয়ার মানুষকে হয়রানি, জুলুম,নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। আমার নেতা কর্মীদের মামলা হামলায় জর্জরিত করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে তারা দলের কোন সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে দেয়া হয়নি।
সাংবাদিকদের বদিউল আলম বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সংসদে জনগণের পক্ষে কথা বলতে পারবেন এমন যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে দল এবং দেশের মানুষের পাশাপাশি তৃণমূলের কর্মীরা মূল্যায়িত হবে। আমি আজীবন পটিয়ার মানুষের পাশে থাকব।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা ও শিশু সংগঠক মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, পটিয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক ডি.এম জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সদস্য মোখতার আহমদ আরিফ, উপজেলা মৎস্যজীবি লীগের আহবায়ক মোঃ সাইফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা ফজল দৌলতী, আবু ছৈয়দ লালু, রিটন বড়ুয়া, ইকবাল হোসেন, হাসান শরীফ, সাইফুদ্দীন ভোলা, সুজন বড়ুয়া, মো. সাইফুদ্দীন সাইফু, জেলা যুবলীগ নেতা অধ্যাপক আজিজুল হক মানিক, সিদ্ধার্থ বড়ুয়া, সাহাবুদ্দীন সাদি, মো. রুনেল, মো. মাহাবু, মো. বাবলু, মো. সাইফুল ইসলাম জুয়েল, আবদুর শুক্কুর, ছৈয়দ নুর, বাদশা মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসাইন, নুরুল ইসলাম রুবেল, মো. জাহেদ প্রমুখ।