Cvoice24.com

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ : দগ্ধ আরেকজনের মৃত্যু

সিভয়েস২৪ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৪২, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ : দগ্ধ আরেকজনের মৃত্যু

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এসএন কর্পোরেশন নামে শিপ ইয়ার্ডে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় খাইরুল ইসলাম (২১) নামে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ জনে।

মারা যাওয়া খাইরুল ইসলাম পিরোজপুরের কাউখালী থানার দাশের কাঁথি গ্রামের কামাল শেখের ছেলে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘ভোরের দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাইরুল ইসলাম মারা যায়। তার শরীরে ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এই ঘটনায় আরো ছয় জন আমাদের এখানে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন- মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), আবুল কাশেম (৩৯), বরকাতুল্লাহ (২৩), আনোয়ার হোসেন (৪৫), আল-আমিন (২৩) ও হাবিব (৩৫)।’

এর আগে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের তেঁতুলতলা এলাকার সমুদ্র উপকূলে জাহাজ কাটার সময় পাম্পহাউজে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন মোট ১২ জন। এরপর তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে আহমেদ উল্লাহর (৩৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় চমেকে চিকিৎসাধীন বাকি চারজন হলেন— সাগর (২০), রফিকুল ইসলাম (৩০), মো. রফিক (৩০), সাইফুল (৩০)।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, দগ্ধদের মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর আলমের শরীরে ৭০ শতাংশ, আবুল কাশেমের শরীরের ৭০ শতাংশ, বরকাতুল্লাহর শরীরের ৬০ শতাংশ, আনোয়ার হোসেনের শরীরের ২৫ শতাংশ, খাইরুল ইসলামের (মারা গেছেন) শরীরের ৮০ শতাংশ, আল-আমিনের শরীরের ৮০ শতাংশ ও হাবিবের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে। তাদের সবারই অবস্থা আশঙ্কাজনক। 


 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: