ফটিকছড়িতে সুপারি রাখার ট্যাংকে নামা আরো একজনের মৃত্যু
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি, সিভয়েস২৪
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সুপারি রাখার ট্যাংকে নামা মো. তৌহিদ (৩৯) নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ওই যুবক উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের পশ্চিম হাইদচকিয়া সোনামিয়া সরকার বাড়ির মো. এজাহার সওদাগরের ছেলে।
এরআগে, সুপারি রাখার ট্যাংকে নেমে ঘটনার দিনই মো. শফি ও মো. শহিদ নামে দুই সহোদর ভাইয়ের মৃত্যু হয়।
জানা যায়, গত ১ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী গুন্নুমিয়া সওদাগরের বাড়িতে সুপারি রাখার ট্যাংকে নামে মো. শফি ও মো. শহিদ। তারা সেখানে গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারানোর পর স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করে। উদ্ধারের কিছুক্ষণ পরেই তাদের মৃত্যু হয়। পরে এ ঘটনায় উদ্ধার করতে আসা স্থানীয়রাও আহত হয়ে পড়েন। আহত অবস্থায় সাতদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর তৌহিদের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মহিন উদ্দিন জানান, তৌহিদ প্রবাসে থাকতো। ছুটিতে দেশে এসেছিল সে। ছুটি কাটিয়ে আবারো প্রবাসে চলে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তার আর বিদেশ যাওয়া হলো না। মর্মান্তিক এ ঘটনায় এখনো আরো ২জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন বলে জানান তিনি।
ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমাদের টিম দ্রুত ওইদিনই ঘটনাস্থল থেকে ১ জন মহিলা ও ৫ জন পুরুষকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠিয়েছে। একটি ৭-৮ফিট গভীরতার ট্যাংকে সুপারি রাখা হয়েছিল। সে সুপারি তুলতে গিয়েই মূলত এ ঘটনা ঘটেছে। ট্যাংকটি সুপারির গন্ধে অতিরিক্ত মিথেন গ্যাস তৈরি হয়। ফলে, অক্সিজেনের অভাবে কেউ কেউ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আর কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে।