Cvoice24.com

স্থানীয় গরু দিয়ে কোরবানির চাহিদা মিটবে পটিয়া-রাঙ্গুনিয়ায়

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:২৮, ৪ জুলাই ২০২২
স্থানীয় গরু দিয়ে কোরবানির চাহিদা মিটবে পটিয়া-রাঙ্গুনিয়ায়

পরপর ২ বছর করোনা মহামারি কাটিয়ে এবারের আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে ঘিরে চট্টগ্রামের পটিয়া-রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। এবারের ঈদে পটিয়ায় ব্যক্তি পর্যায়ে ও খামারীরা প্রস্তুত করেছেন প্রায় ৭৫ হাজার কোরবানির পশু। অন্যদিকে রাঙ্গুনিয়ার ১২ স্থানে বসছে কোরবানি পশুর হাট। এর মধ্যে উপজেলার ৯ ইউনিয়নে ৯ টি ও পৌরসভার অধীনে বসবে ১টি হাট। এর বাইরেও রানীরহাট ও রোয়াজার হাট বাজারের স্থায়ী পশুর হাটেও চলবে কোরবানির পশুর বেচাকেনা।

করোনাকালীন সময়ে উপজেলায় পশুর চাহিদা কম থাকলেও এবার চাহিদা অনেকটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা এবং এই চাহিদা মিটবে স্থানীয় পশু দিয়েই মিটানো সম্ভব বলে দাবি উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাদের।

পটিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৭টি ইউনিয়নে ২২০টি খামারের মধ্যে ১২২টি খামার ও ব্যক্তি পর্যায়ে বাসাবাড়িতে প্রায় ৭৫ হাজার পশু কোরবানীর উপযোগী করে তুলেছেন। যার মধ্যে ষাড় ৩২৯৬৩, বলদ ১১২৩৬, গাভী ৮১৩৫, মহিষ ৪২৮৫, চাগল ১০২৪৯, ভেড়া ৫৪৪৯। কিন্তু ৭৫ হাজার পশুর চাহিদা থাকলেও আরো প্রায় ৫ হাজার পশুর সংকট থাকবে বলে জানা গেছে। 

সূত্র আরো জানায়, এবার পটিয়া উপজেলার ১০ টি স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসবে। প্রতিটি বাজারে পশুকে দেখভাল করার জন্য ১০ টির অধিক মেডিকেল টিম কাজ করবে। উপজেলার সবচেয়ে বড় গরুর হাট বসে পটিয়া নতুন থানার হাট, কমলমুন্সির হাট, শান্তির হাট, মুন্সির হাট, মনসা বাদামতল এর মনসা চৌমুহনী হাট, অলির হাট, মহাজন হাট, মুরালিঘাট বাজার, রৌশন হাট, পটিয়া পুরাতন থানা হাটসহ আরো কয়েকটি হাট। এছাড়াও উপজেলার পাড়া মহল্লায় এবার মৌসুমি পশু ব্যাবসায়ীরা গরু, মহিষ ও ছাগল কিনে এনে যার যার এলাকায় বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী জানান, পৌরসভাসহ রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ১০টি পশুর হাটের ইজারা দেয়া হয়েছে। স্থায়ী হাটগুলোসহ ইজারার বাইরে কোথাও হাট বসার অনুমতি নেই। যদি কেউ কোথাও অবৈধভাবে হাট বসায় উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

তিনি আরও বলেন, সড়ক-মহাসড়কের পাশে যেখানে যান চলাচল বিঘ্ন হতে পারে সেখানে কোনোভাবেই পশুর হাট বসানো যাবে না। এক্ষেত্রে সড়কের ওপরে পশুর হাট বসানো বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট এলাকার পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবার চট্টগ্রামে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানি মিটবে। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও ব্যাপারীরা চট্টগ্রামে পশু বিক্রির জন্য নিয়ে আসবে। একইসঙ্গে চট্টগ্রামের মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও কোরবানকে টার্গেট করে পশু পালন শুরু করেছেন। এ কারণে চট্টগ্রামে এবার কোরবানিতে পশু সংকট হবে না বলে দাবী উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাদের।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়