Cvoice24.com

পটিয়ার কালারপুল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:২৭, ৭ নভেম্বর ২০২২
পটিয়ার কালারপুল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

কালারপুল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কালারপুল সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ সেতুর উদ্বোধন করেন। এসময় যান চলাচলের জন্য দেশের আরও ৯৯টি সড়ক সেতু উদ্বোধন করেন তিনি।

এসময় চট্টগ্রাম প্রান্তে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, পটিয়া আসনের এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, বোয়ালখালী আসনের এমপি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।

১৫ বছর আগে পটিয়ার কালারপুল সেতু বার্জের (নৌযান) ধাক্কায় বিধ্বস্ত হয়েছিল। এরপর ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় গার্ডার সেতু। সেতুটি চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে শিকলবাহা খালের পূর্ব তীরসহ এই জনপদের প্রায় অর্ধশত ভারী শিল্প কারখানার স্থবিরতা কেটে যাবে। ২০০৭ সালে বেইলি সেতু বিধ্বস্ত হওয়ার সাত বছর পর ২০১৪ এখানে আরও একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ওই সময়ের যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সেতুটি উদ্বোধন করেন। কিন্তু নির্মাণকাজে অনিয়মের কারণে বছর না ঘুরতেই ভেঙে পড়ে সেতুর একাংশ। এরপর পটিয়া আসনের এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর চেষ্টায় গার্ডার সেতু নির্মিত হয়।

১০০ সেতু উদ্বোধনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫টি, সিলেট বিভাগে ১৭টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, ময়মনসিংহে ছয়টি, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী ও রংপুরে পাঁচটি করে, ঢাকায় দুটি ও কুমিল্লায় একটি রয়েছে। ৮৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুগুলো নির্মাণ করেছে সরকার।

দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ২৫টি জেলায় নির্মাণ করা ১০০টি সেতুর নাম পড়ে শোনান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় দেশবাসীকেও শুভেচ্ছা জানান তিনি। 

উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শত সেতু উদ্বোধন করা একটা ঐতিহাসিক ব্যাপার। এ রকম ঘটনা কিন্তু হয়নি।’

জনগণের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ, সুন্দরভাবে ব্যবহার করা, এটার নিরাপত্তা দেয়া আপনাদের নিজ নিজ দায়িত্ব। আমি মনে করি এই সেতু নির্মাণের ফলে প্রতিটি অঞ্চলে আর্থ-সামাজিক উন্নতি আরও ঘটবে।’

সরকারের আমলে নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে টানা তিন মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয়বার সরকারে আসার পর বিভিন্ন সড়কে প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৩০৩ মিটার সেতু পুননির্মাণ, ২১ হাজার ২৬৭ মিটার কালভার্ট নির্মাণ করেছি। বহু সড়ক আজকে আমরা মহাসড়কে রূপান্তর করে দিচ্ছি, যাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হয়। চার লেন বা ছয় লেন করেও আমরা সেতু করে দিচ্ছি। কারণ আমরা চাই যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হোক।’

নিজস্ব অর্থায়নের পদ্মা সেতু নির্মাণের গৌরবগাঁথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এমনভাবে করে দিচ্ছি যেন বাংলাদেশ শুধু দেশের অভ্যন্তরে না এশিয়ান হাইওয়ে ও এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গেও যেন যুক্ত হতে পারি। ট্রান্স এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ যেন আমাদের এগিয়ে যেতে পারে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে বিভিন্ন সড়ক ও রেল ব্রিজ করে দিচ্ছি।’

এই সেতুগুলো নির্মাণের ফলে শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থাই নয়, অর্থনৈতিক উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে বলে মনে করেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, তাদের পক্ষে সহজ হবে প্রতিটি এলাকায় দ্রুত যাওয়া এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অথবা কোনো দুর্ঘটনা-দুর্বিপাক দেখা দিলে মানুষের সাহায্য করা। সেই দিক থেকে বিরাট একটা সুবিধা সবাই পেয়ে যাবেন। পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে, উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, বাজারজাতকরণ সহজ হবে, পণ্য পরিবহন সহজ হবে।’

নৌপথ সচল রাখতে নদীগুলো নিয়মিত ড্রেজিং করা হচ্ছে বলেও জানান সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘অনেকে অনেক কথা বলতে পারে, কিন্তু যে কাজগুলো করে দিয়েছি আমরা, তার সুফল পাচ্ছে দেশের মানুষ। আমাদের উন্নয়ন হচ্ছে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের জন্য।’

 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়