উপজেলার মার্কেট ঘুরে মোটরসাইকেল পছন্দ করতেন আরিফুল
পটিয়া প্রতিনিধি

দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় দিনভর বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমল কিংবা হাসপাতালের পার্কিং ঘুরে পছন্দের মোটর সাইকেল খুঁজে বের করতেন তিনি।কয়েক বছর ধরে রপ্ত করেছেন চুরির কৌশল। মোটর সাইকেল চুরিতে আরিফুলের দক্ষতা বিস্মিত হওয়ার মত। এ কাজে তার সময় লাগে মাত্র কয়েক সেকেন্ড। চুরি করা মোটর সাইকেলে রং আর নম্বর পাল্টে সেটি বিক্রি করে দেয় চক্রের অন্য সদস্যরা।
এবার শেষরক্ষা হলনা চোর চক্রের মূল হোতা পটিয়ার আরিফুল ইসলামের। প্রযুক্তির সহায়তা কর্ণফুলী থানা পুলিশ তাকে ধরে এনে হাজতে ঢোকালো। বৃহস্পতিবার কর্ণফুলী থানায় মোটর সাইকেল চুরির মামলাটি দায়ের হওয়ার পর সংঘবদ্ধ চোর চক্রের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে পুলিশ। সংঘবদ্ধ মোটর সাইকেল চোরচক্রের মূল হোতা এ তরুণের নাম আরিফুল ইসলাম। তার বয়স ২৩। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পটিয়ার উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের গৈড়লা এলাকা থেকে তাকে আটক করেছে কর্ণফুলী থানা পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া আরিফুল ইসলামের বাড়ি পটিয়ার ধলঘাটে। তার বাবার নাম মৃত জহির আহমদ।
জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া তার তথ্যমতে পটিয়ার জঙ্গল খাইন ইউনিয়নের দিঘির পাড় এলাকা থেকে চুরি হওয়া একটি ডিসকভার ১২৫ সিসি মোটর সাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় দিনভর বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমল কিংবা হাসপাতালের পার্কিং ঘুরে পছন্দের মোটর সাইকেল খুঁজে বের করতেন তিনি। বয়স কম, দেখতেও সহজ সরল প্রকৃতির মতো তাই তাকে সন্দেহ করতো না কেউ। এসব সুবিধা কাজে লাগিয়ে পার্কিংয়ে থাকা সবচেয়ে দামি মোটর সাইকেলটি নিয়ে মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই হাওয়া হয়ে যেতো পরিচিত গ্যারেজে এনে মিনিটেই রং, চেসিস, নম্বর প্লেট পাল্টে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হতো। এলাকার উঠতি বয়সের কিশোরদের মোটর সাইকেল চুরিও শেখাতেন তিনি।
এর আগে পটিয়া ও কর্ণফুলী থানা পুলিশের যৌথ টিম কয়েকদিন আগে মোটর সাইকেল চোর চক্রের মুল হোতা আরিফুল ইসলামকে ধরতে তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তাকে পাওয়া না গেলেও বেশ কয়েকটি হেলমেট উদ্ধার করে পুলিশ।
কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, কর্ণফুলী থানায় একটি মোটর সাইকেল চুরির মামলার সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে ১টি মোটর সাইকেল উদ্ধারসহ চক্রের মূল হোতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলেই তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।