এয়াকুবদন্ডী হুলাইন পাইরোল উচ্চ বিদ্যালয়
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ
সিভয়েস২৪ ডেস্ক
আর্থিক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের পটিয়া এয়াকুবদন্ডী হুলাইন পাইরোল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়টির সাবেক সভাপতি ডা. এ কে এম নাছিরউদ্দীন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়ে নির্মাণকৃত নতুন ভবনের জায়গা রেজিস্ট্রি না নিয়েই সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মর্তুজা কামাল চৌধুরী, কোহিনূর সালাম, সুলতানা নূর, শামীম মোরশেদ, শামশাদ নূর বিদ্যালয় থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ দেখিয়েছেন। জায়গার প্রকৃত মালিক না হয়েও তারা মালিক সেজেছেন। টাকা ও জমি কিছুই না দিয়ে হয়েছেন বিদ্যালয়ের দাতাসদস্য।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ডা. নাছির বলেন, ‘আমার বাবা মো. ছগির আহমদ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম। আমার পরিবারের আরও ৬ জন এ বিদ্যালয়ের আজীবন দাতাসদস্য। ২০১৪ সাল পর্যন্ত আমি দীর্ঘ ১৬ বছর বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। এই বিদ্যালয়ের জন্য আমাদের পরিবারের অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা রয়েছে। কিন্তু ক্ষমতার পালাবদলে সাবেক এমপি হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর আমল থেকে এখানে নিয়মবহির্ভূত পকেট কমিটি করে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পার্থ সারথীর যোগসাজশে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘কম্পিউটার ল্যাব, শহীদ মিনার নামফলক নিয়ে করা হয়েছে বিভিন্ন কারসাজি।’ তিনি বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় নিয়ে অডিট ও অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করতে অনুরোধ জানান।
অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পার্থ সারথী সাহা বলেন, ‘জায়গার বিষয়টি যথাযথ কমিটির মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়েছে, তার বিপরীতে চুক্তিনামা রয়েছে। তবে জমিদাতাদের মধ্যে কয়েকজন দেশের বাইরে থাকায় রেজিস্ট্রি নেওয়া যায়নি।’
এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, ‘আজীবন দাতা সদস্যদের অনুদান ও জমিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যে আমি বিদ্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন ডকুমেন্টস সংগ্রহ করি। তদন্তে সাপেক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন ভূঞা জনী বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের জন্য পাঠাই। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসলে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানা যাবে।’