Cvoice24.com

মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার তিন, অধরা প্রধান আসামি ইউনুছ 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৪০, ৭ এপ্রিল ২০২১
মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার তিন, অধরা প্রধান আসামি ইউনুছ 

নিহত রাঙ্গুনিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা মো. মুহিবুল্লাহ।

হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের সমর্থকদের হামলায় গুরুতর আহত রাঙ্গুনিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা মো. মুহিবুল্লাহ (৫৪) হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও হামলার পর দায়ের করা দুই মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা ইউনুছ মনিকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। 

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপরই রাতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরআগে হামলার পর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—ফোরকান, ইয়াহিয়া ও হোসেন। 

রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মাহবুব মিল্কি সিভয়েসকে বলেন, ‘হেফাজতের মিছিল থেকে হামলায় মহিবুল্লাহ নিহতের ঘটনায় আমরা চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি। ঘটনার পর একজনকে এবং নিহতের পরপরই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ 

জানা যায়, হেফাজত নেতা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্টে নারীসহ অবরুদ্ধ হন গত শনিবার (৩ এপ্রিল) রাতে। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করে হেফাজত ইসলাম ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। ওই মিছিল থেকেই রাঙ্গুনিয়ার কোদালা ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মো. ইউনুছ মনির নেতৃত্বে হামলা চালালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন নেতা আহত হন। তারা হলেন- ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. মুহিবুল্লাহ, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুল জব্বার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিলদার আজম লিটন। 

তাদের মধ্যে মুহিবুল্লাহর অবস্থা গুরুতর হওয়ায়পার্কভিউ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তার মাথা ও শরীরে কয়েকশ আঘাতের চিহ্ন পেয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা ওই নেতা মঙ্গলবার রাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। নিহত মুহিবুল্লাহ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে পৃথক দুটি মামলা হয়। একটির বাদী পুলিশ ও অন্যটির কোদালা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. আবদুল জব্বার। দুটি মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতা ইউনুছ মনিকে। সেই সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী ও হেফাজত সমর্থক ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনসহ মোট ২১৪ আসামি করা হয়েছে। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়