Cvoice24.com

রাঙ্গুনিয়ার হাসপাতালে ‘রহস্যময়ী’ যুবতী, ভর্তি করিয়ে দায় সারলো পুলিশ

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:৪৪, ১৫ জুন ২০২১
রাঙ্গুনিয়ার হাসপাতালে ‘রহস্যময়ী’ যুবতী, ভর্তি করিয়ে দায় সারলো পুলিশ

শরীরে নেই কোন আঘাতের চিহৃ। হুঁশ-ও ঠিক আছে। কিন্তু কেউ কিছু জানতে চাইলে ফ্যাল ফ্যাল করে অপলক তাকিয়ে থাকে। কোন কারণ ছাড়া অবার কান্নাও জুড়ে দেয়। ঠিক তিন দিন আগে অর্থাৎ শনিবার (১২ জুন) গভীর রাতে ঠিক এমনই এক রহস্যময়ী যুবতীকে ভর্তি করানো হয় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে— এ যুবতীকে ভর্তি করিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে কে বা কারা হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে যাওয়ার পর হাসপাতালেই যুবতীর সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।

এভাবে পরস্পর বিরোধী বক্তব্যের জেরে ৩ দিন ধরে রাঙ্গুনিয়ার হাসপাতালে পড়ে আছেন যুবতী সুমি (২০)। তার ভর্তির স্লিপে ঠিকানাবিহীন ‘কেয়ার অব সুমন’ লিখা ছিল। সেই স্লিপে আবার কোন ফোন নাম্বারও নেই।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষ সিভয়েস জানায়, তিনদিন আগে রাতে পুলিশের মাধ্যমে ওই যুবতীকে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে হাসপাতালের দোতলার মহিলা ওয়ার্ডে আছেন তিনি। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তিনি মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ অর্থাৎ মানসিক ভারসাম্যহীন। মুখে কোন উত্তর দেয় না। এখনও কোন স্বজনও আসেনি তার কোন খোঁজ নিতে। হাসপাতাল থেকে খাবার দিলেও খায় না তেমন। তবে যুবতীর আর কোন সমস্যা পাওয়া যায় নি। 
   
মঙ্গলবার (১৫ জুন) রাতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাঈনুল করিম সিভয়েসকে বলেন, ‘সুমি নামে এক যুবতীকে ভর্তি করায় পুলিশ। এরপর থেকে সে হাসপাতালে আছে। আমাদের সাধ্যমতো যা চিকিৎসা  দেওয়ার তা করেছি। তবে তার কোন ঠিকানা পায়নি আমরা। পুলিশ বিষয়টি জানলেও এর পরে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। আশাকরি পুলিশ বিষয়টি দেখবে।’

ওই রাতে এ রহস্যময় যুবতীকে হাসপাতালে ভর্তি করায় রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশের এসআই কফিল উদ্দিন। তিনি এ বিষয়ে সিভয়েসকে বলেন, ‘হাসপাতালেই ওই যুবতীকে আমরা পাই। কে বা কারা তাকে ভর্তি করিয়েছে আমরা জানিনা। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ফোন পেয়ে আমি যাই। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। তাকে জুস ও খাবার খেতে দেয়া হয়। ওই যুবতী মানসিক ভারসাম্য হীন ছিল। নাম ঠিকানা কিছু বলতে পারেনি। পরে আমার সাথে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) তাকে স্যালাইন ও ওষুধ কিনে দেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সেই রাতে বলা হয়, রোগীর যদি কিছু হয় তাহলে মেডিকেলে নেয়ার ব্যবস্থা করতে। পাশাপাশি আমাদেরকেও অবহতি করার জন্য বলা হয়। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আর কোন যোগাযোগ করেনি।’

যুবতীর ঠিকানা খোঁজার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘এটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিষয়। যেহেতু তারা তাকে ভর্তি করিয়েছে। কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের জানায় আমরা অবশ্যই তাকে তার ঠিকানায় পৌঁছে দেব।’     

এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মিল্কি সিভয়েসকে বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের বলেছে এরকম একটি ভারসাম্যহীন যুবতী হাসপাতালে ভর্তি আছে। পরে পুলিশ গিয়ে দেখে আসে। আমরা তাকে চিকিৎসা সেবা দিতে বলেছিলাম। মহিলা যদি পাগল হয় তার চিকিৎসাতো আমরা করবো না। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে ওই যুবতীর ব্যাপারে কোন তথ্য নেই। তবে বিষয়টি আমি দেখছি। হাসপাতালে আমাদের কর্মকর্তাকে পাঠাচ্ছি।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়