Cvoice24.com

রাঙামাটি ছেড়ে খাগড়াছড়িতে কাজ নিতে গিয়ে রাঙ্গুনিয়ার জিল্লু হত্যায় যাবজ্জীবনের আসামি ধরা

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৫৩, ৭ এপ্রিল ২০২২
রাঙামাটি ছেড়ে খাগড়াছড়িতে কাজ নিতে গিয়ে রাঙ্গুনিয়ার জিল্লু হত্যায় যাবজ্জীবনের আসামি ধরা

খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাঙ্গুনিয়ার জিল্লুর ভাণ্ডারী হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামালকে

২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাঙ্গুনিয়ার রানিরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয় গেটের সামনে এলোপাথাড়ি মারধর ও গুলিতে জিল্লুর রহমান ভান্ডারিকে খুন করে জেল খাটেন মো. কামাল। পরে জামিনে বেরিয়ে সদর্পে সিএনজি নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন এলাকাতেও। তবে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলে পালিয়ে যান এলাকা ছেড়ে। ছদ্মবেশে ওয়েটারের কাজ নেন রাঙামাটি সাজেকের একটি হোটেলে। সেখান থেকে পর্যটন জেলা খাগড়াছড়িতে কাজের খোঁজে গিয়ে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। 

বুধবার (৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টায় খাগড়াছড়ির কলেজপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাবের সদস্যরা।

গ্রেপ্তার  কামাল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার গোদারপাড়ার আমিনুল হকের ছেলে।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার সিভয়েসকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মো. কামাল জানায়, তিনি একজন জিপ গাড়ির ড্রাইভার। জিল্লুর ভাণ্ডারী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ২০১৭ সালে জামিনে মুক্তি পান। এরপর এলাকায় সিএনজি চালাতেন। কিন্তু সম্প্রতি মামলার রায় ঘোষণার পরপরই তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন পেশার কাজ নেন। সবশেষ রাঙ্গামাটির পর্যটক এলাকা সাজেক ভ্যালিতে একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ নেন। সেখান থেকে কাজের সন্ধানে খাগড়াছড়িতে আসলে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন। 

তার বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া থানায় ৬টি, মহানগরীর কোতোয়ালী থানায় ও খাগড়াছড়ি সদর থানায় ১টি করে মোট ৮টি মামলা রয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাকে রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয় গেটের সামনে দুর্বৃত্তদের এলোপথাড়ি মারধর আর গুলিতে খুন হন জিল্লুর রহমান ভান্ডারি। পরর্বতীতে জিল্লুর ভাণ্ডারীর ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন ৮ জনের নাম উল্লেখ করে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় আরও ৪ থেকে ৫ জনকে।  মামলায় ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। 
 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়