এনজিওকর্মী খুন করে সিলেটে হোটেল বয়ের চাকরি, অবশেষে ধরা
সিভয়েস প্রতিবেদক
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার এনজিওকর্মী হত্যার আসামি এনামুল হক
ঠিক এক মাস আগে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে খুন হন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) পদক্ষেপের কর্মী চম্পা চাকমা (২৬)। ঋণগ্রহীতাকে ঋণের টাকা পরিশোধ করার তাগাদা দেওয়ার জেরেই খুন হতে হয় চম্পাকে। ঘটনার পর পরই আত্মগোপনে চলে যান খুনি। পাহাড়ি বনে একরাত, রাঙামাটি, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা, চকবাজার এলাকা, ঢাকার পোস্তাগালা এলাকায় লুকিয়ে থাকেন। সবশেষ সিলেটের জৈন্তাপুরে যান। জৈন্তাপুরের একটি হোটেলে দৈনিক ২০০ টাকা বেতনে কাজ নিয়েছিলেন আসামি। সেখান থেকেই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম এনামুল হক এনাম (২৭)। তিনি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নের উত্তর পারুয়া গ্রামের মো. নুরুজ্জামানের ছেলে। সোমবার (৩ এপ্রিল) রাতে সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ খুনের কথা স্বীকার করেছেন এনামুল। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নূরুল আবসার এসব তথ্য জানান।
র্যাব কর্মকর্তা নূরুল আবসার বলেন, মা ও বোনের নামে এনজিও সংস্থা পদক্ষেপ থেকে তিন লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। মায়ের নামে নেওয়া ঋণের টাকা পরিশোধ করলেও বোনের নামে নেওয়া ঋণের টাকা যথাসময়ে পরিশোধ করতে পারেননি আসামি এনামুল। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই ঋণের একটি কিস্তি দেওয়ার কথা থাকলেও তাও পরিশোধ না করায় তাগাদা দিতে থাকে এনজিওকর্মী চম্পা। এই ঋণের কিস্তির ৩০ হাজার টাকা বাকি আছে। বাকি টাকা তোলার জন্য এনজিওটি থেকে ৮ জন তাঁর বোনের বাসায় যাওয়ার কথা ছিল। বোনের মানসম্মান নষ্ট হবে—এই ভেবে এনামুল প্রথমে চম্পাকে চাকু দেখিয়ে হুমকি দেন। একপর্যায়ে তিনি তাঁর গলায় ছুরিকাঘাত করেন। বার বার তাগাদা দেওয়ায় কথা-কাটাকাটির জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে এনাম ছুরিকাঘাত করেছিলেন।’
প্রসঙ্গত, গত ৫ মার্চ রাত সাড়ে আটটার দিকে রাঙ্গুনিয়ার ধামাইরহাট বাজার এলাকায় চম্পাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তিনি পদক্ষেপ নামের এনজিওটিতে সহকারী ব্যবস্থাপক (ঋণ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চম্পা খুনের ঘটনায় রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা হয়। এই মামলার আসামি এনামুল।