Cvoice24.com

রাউজানের এসি ল্যান্ডকে ধাওয়া করলো ফটিকছড়ির বালু ব্যবসায়ী

রাউজান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:১৪, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
রাউজানের এসি ল্যান্ডকে ধাওয়া করলো ফটিকছড়ির বালু ব্যবসায়ী

রাউজানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ৪টি মেশিন ধ্বংস করলেন ইউএনও

চট্টগ্রামের রাউজানে অবৈধ বালু মহালে অভিযান চালাতে গেলে বাধার মুখে পড়েছেন সহকারি ভূমি কমিশনার। কামাল নামে একজন তার ২০/৩০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতীশ দর্শী চাকমাকে ধাওয়া করেন। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ৪টি মেশিন ধ্বংস করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। 

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর হলদিয়া গ্রামে রাউজান-ফটিকছড়ি সীমান্তবর্তী সর্তাখালে এ ঘটনা ঘটে। 

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে রাউজানের পাশ্ববর্তী সর্তাখালে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য অভিযানে যান এসিল্যান্ড অতীশ দর্শী চাকমা। এসময় ফটিকছড়ি উপজেলার বাসিন্দা বালু উত্তোলনকারী কামালের নেতৃত্বে ২০/৩০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসিল্যান্ডকে ধাওয়া করে। পরে তিনি রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগকে বিষয়টি জানালে র‌্যাব, পুলিশ, অনসার সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ততক্ষণে পালিয়ে যান অভিযুক্ত কামালসহ তার সঙ্গীরা।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সর্তাখালের রাউজান অংশ থেকে অবৈধভাবে ৪টি পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করছিল রাউজানের পার্শ্ববর্তী ফটিকছড়ি উপজেলার বাসিন্দা কামাল উদ্দিনসহ একাধিক সিন্ডিকেট। এসিল্যান্ড অভিযানে গেলে ২০/৩০ জন অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করলে এসিল্যান্ডের সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যারা গুলি করার হুমকি দিলে তারা খালের পাড়ে উঠে যান। পরে আমাদের সহায়তা চাইলে আমি ২০/৩০ জন দলীয় নেতাকর্মী সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল ঘটনস্থলে ছুটে যাই। পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতির পর তারা পালিয়ে যান। তারা এমনভাবে বালু উত্তোলন করছিল, খালে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি করেছে।’

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘এসিল্যান্ড অভিযানে যাওয়ার সময় ৪ পুলিশ সদস্য সাথে নিয়ে যান। পরবর্তীতে ইউএনও সাহেব ফোন করলে আমরা ঘটনাস্থলে আরও ৬ পুলিশ সদস্যকে পাঠাই। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’ 

রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, ‘সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতীশ দর্শী চাকমাকে তার দায়িত্বপালনে কিছু দুষ্কৃতিকারী দেশিয় অস্ত্র নিয়ে অন্যায়ভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা র‌্যাব, পুলিশ, আনসার সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ৪টি পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ৪টি মেশিন ধ্বংস করেছি।’এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। 

যারা এসিল্যান্ডকে ধাওয়া করে অভিযান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান জোনায়েদ কবির সোহাগ।

-সিভয়েস/এমএম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়