Cvoice24.com

মসজিদে খাটিয়া কে দিবেন— তা নিয়ে বাক-বিতণ্ডা, কাউন্সিলরের গুলি

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৪৩, ১৪ এপ্রিল ২০২১
মসজিদে খাটিয়া কে দিবেন— তা নিয়ে বাক-বিতণ্ডা, কাউন্সিলরের গুলি

চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে মসজিদে খাটিয়া দেওয়া নিয়ে বাক-বিতণ্ডায় গুলি করে সাইফ উদ্দীন খান সাবু নামে একজনকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে কাউন্সিলর আলমগীর আলীর বিরুদ্ধে। তবে গুলি করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর আলমগীর আলী।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে পশ্চিম গহিরা আবুদ্দার বাড়ির শেখ ইব্রাহীম জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।

আহত সাইফ উদ্দীন খান সাবু একই এলাকার মৃত মুজিবুল হকের ছেলে এবং রাউজান পৌরসভা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুনের বড় ভাই। 

স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় এক প্রবাসী মসজিদের জন্য একটি উন্নতমানের খাটিয়া দেন। এই খাটিয়া ফেরত দিয়ে দেন রাউজান পৌরসভা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন। এছাড়া মসজিদের চলমান কাজ বন্ধ রাখার জন্যও শ্রমিকদের নির্দেশ দেন মামুন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে আবদুল্লাহ আল মামুন, তার সৎ ভাই সাইফ উদ্দিন খান সাবু ও তার ভাতিজা মো. রিদোয়ানের সাথে কাউন্সিলর এবং মসজিদ কমিটিদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তবে গুলা-গুলির বিষয়টি স্থানীয়রা কেউ স্বীকার করেননি। 

মসজিদের ইমাম মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‌‘খাটিয়া নিয়ে সবার মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এছাড়া মসজিদে টাইলস মিস্ত্রি, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ও এসির মিস্ত্রি কাজ করছিল। হঠাৎ মামুনরা এসে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য হুমকি দেই। এনিয়ে কথা-কাটাকাটির জের ধরে একে অপরের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কি হয়।’  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘কাউন্সিলর আলমগীর আলীর সাথে আমাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। আজকে মসজিদ কমিটির সাথে আমাদের বাক-বিতণ্ডা হয়। আলমগীর আলী মসজিদের কোন কিছুতেই নেই, তার সাথে কথা-কাটাকাটি হয়নি। তিনি হঠাৎ করে সে এসে অনেক হয়েছে, অনেক দিন ধরে কাণ্ডগুলো দেখছি উল্লেখ করে গুলি চালান। তার গুলিতে আমার ভাই আহত হয়। পরে আমার ভাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘পশ্চিম গহিরায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে শুনেছি। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। পরিবারের দাবি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলর নয়, যত বড় প্রভাবশালী ব্যক্তি হোক, গুলি করার সংশ্লিষ্টতা পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়