Cvoice24.com

রাউজানের ‌‘আলীরাজ’ বিক্রি হবে ৩ লাখে

রাউজান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:৪৯, ১৩ জুলাই ২০২১
রাউজানের ‌‘আলীরাজ’ বিক্রি হবে ৩ লাখে

রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নে বদুমুন্সি পাড়ায় মো. সেলিম নামে এক ব্যক্তি গত ৩ বছর ধরে লালন-পালন করেছেন একটি গরু। নাম রেখেছেন ‘আলীরাজ’। গরুটির ওজন ১০ মণের চেয়ে বেশি। গরুটি ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করার কথা জানিয়েছেন গরুর মালিক মো. সেলিম।

সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশুর হাট শুরু হলেও চট্টগ্রামের রাউজানে শুরু হবে ১৫ জুলাই থেকে। উপজেলার কোরবানি দাতা প্রত্যেক পরিবারে এক বা একাধিক পশু কোরবানি দিলেও এবার তাদের কেউ কেউ ভাগাভাগি করে কোরবানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিকে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট এখনো জমে উঠেনি। গৃহস্থী ও খামারিরা বেচাকেনা শুরু করেছে। দেশি ও ছোট গরুর চাহিদা থাকলেও দাম কম।

রাউজান উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের তথ্যমতে, রাউজানে মোট গরুর খামারের সংখ্যা ৪৫১টি। এইসব খামারে ৩৫ হাজার ১৯২টি গরু মহিষ রয়েছে। এরমধ্যে গাভী ৭৭২টি, ষাঁড় ১ হাজার ৫০৯টি, বলদ ৬ হাজার ৭৮০টি, মহিষ রয়েছে ২ হাজার ১৯৬টি, ছাগল রয়েছে ৬ হাজার ১৭৮টি, ভেড়া রয়েছে ১ হাজার ৩৬৮টি। এলাকার লোকজনের গৃহপালিত গরু রয়েছে ৩৯৬টি। 

খামারিদের লালন পালন করা গরু মহিষ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণ গরু-মহিষ ক্রয় করে রাউজানে এনে মজুদ রেখেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। করোনার প্রদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত কাঠোর লকডাউনের কারণে অধিকাংশ কোরবানি দাতা এলাকার লোকজন লালন পালন করা গৃহস্থী গরু, খামারি ও মৌসুমী গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কেনার জন্য ঘুরছেন। 

এছাড়াও এলাকার লোকজনের লালন পালন করা গরু ও মহিষ ক্রয় করছেন এলাকার লোকজন। কয়েক যুগ ধরে রাউজানের হলদিয়া বইজ্যার হাট, আমির হাট, জানিপাথর বাজার, উত্তর সর্তা দরগার ছড়ি বাজার, ডাবুয়া ইউনিয়নের জগন্নাথ হাট, হিংগলা মুছা শাহ বাজার, চিকদাইর ইউনিয়নের হক বাজার, দক্ষিণ সর্তা কালচান্দ চৌধুরী হাট, গহিরা দলই নগর স্কুল মাঠ, নোয়াজিশপুর নতুন হাট, ফতেহ নগর বাশডুয়াতল বাজার, রাউজান পৌরসভার জানালী হাট, পশ্চিম রাউজান চারাবটতল বাজার, ফকিরহাট বাজার, বিনাজুরী ইউনিয়নের কাগতিয়া হাট, রাউজান ইউনিয়নের রমজান আলী হাট, নাতোয়ান বাগিচা, কদলপুর ইউনিয়নের সোমবাইজ্যার হাট, ঈশান ভট্টের হাট, পাহাড়তলী ইউনিয়নের উনসত্তর পাড়া, গৌরি শংকর হাট, বদু পাড়া পিংক সিটি-২, পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের অলি মিয়ার হাট, নতুন চৌধুরী হাট, পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের মগদাই পি.কে সেন হাট, রঘুনন্দন চৌধুরী হাট, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরী হাট, কচুখাইন মিয়া আলী হাট, বাগোয়ান ইউনিয়নের গশ্চি, ব্রাহ্মণ হাট, লাম্বুর হাট, উরকিরচর ইউনিয়নের আলা মিয়ার হাট, জিয়া বাজার, কেরানী হাট কেরবানির পশুর হাট বসে আসছে।  

রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৌর এলাকায় পশুর হাট বসানো হবে। রাউজান পৌরসভার পক্ষ থেকে পশুর হাটে মাস্ক বিতরণ, সচেতনতামূলক মাইকিং লিফলেট বিতরণ করা হবে।’ 

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘কোরবানি পশুর হাট নিয়ে আমরা এখনো কোন সিদ্ধান্ত পাইনি। এমনকি কোন কোন এলাকায় পশুর হাট বসবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়নি। তবে আমরা প্রস্তুত। আইনশৃঙ্খলা ও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় পূর্বের ন্যায় পুলিশ মাঠে থাকবে।’ 

এ প্রসঙ্গে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, ‘অন্যান্য বছরের মতো এবারো রাউজানে পশুর হাট বসবে। আগামী ১৫ জুলাই থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানি পশুর হাট বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়